বাতিল হয়ে যাওয়া আইনে কীভাবে মামলা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এবার কেন্দ্রকে ভর্ৎসনা করল সু্প্রিম কোর্ট। তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৬–এ ধারা যাতে কোথাও প্রয়োগ না হয়, সেই আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। সেই দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতেই এদিন শীর্ষ আদালত তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করল।
এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আর নারিম্যান, বিচারপতি কে এম জোসেফ ও বিচারপতি বি আর গভাইয়ের বেঞ্চ ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, আশ্চর্যজনক ব্যাপার। আমরা একটা নোটিশ জারি করছি। যেটা চলছে, সেটা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রকে এই বিষয়ে উত্তর দিতে হবে। এদিন মামলাকারীর তরফে আইনজীবী সঞ্জয় পারিখ আদালতকে জানান, ৬৬–এ ধারাকে হাতিয়ার করে দিনের পর দিন অভিযোগের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বাতিল হয়ে যাওয়ার সময়ও ২২৯টি মামলা আদালতের কাছে পড়েছিল। এখন সেই মামলার সংখ্যা বাড়তে বাড়তে ১৩০৭–এ গিয়ে পৌঁছেছে।
বাতিল হয়ে যাওয়া আইনে ফের মামলা হওয়ায় সাধারণ মানুষকে নানা অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এই আইনকে কাজে লাগিয়ে কোনও থানায় যাতে অভিযোগ না জানানো হয়, সেই আর্জিও জানানো হয়। মামলাকারীর তরফে এই অভিযোগ জানার পর শীর্ষ আদালত এদিন কেন্দ্রের কাছ থেকে এই বিষয়ে তাদের অবস্থান জানতে চেয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে এই আইনটিকে অসাংবিধানিক, অস্পষ্ট ও বাক স্বাধীনতার বিরোধী বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। তথ্য প্রযুক্তি আইনের এই ধারায় অনলাইনে আপত্তিকর পোস্ট করার অভিযোগে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারত পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তি আইনের এই ধারাকে নিয়েই একটা সময়ে তুমুল বিতর্কও সৃষ্টি হয়। যদিও পরে শীর্ষ আদালত এই আইনটিকে অস্পষ্ট ও অসাংবিধানিক বলে আখ্যা দেওয়ায় সেই বিতর্ক আর বেশিদিন স্থায়ী হয়নি।