গতকালই বড় ঘোষণা করে প্রধআনমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান যে রাজ্যের থেকে টিকাকরণের দায়িত্ব 'প্রত্যাহার করা হচ্ছে'। দেশের সকল প্রাপ্তবয়স্ক বাসিন্দাকে টিকা দেবে কেন্দ্র। কেন্দ্রের দাবি, ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই টিকাকরণ সম্পন্ন করা হবে দেশে। যার অর্থ দেশের ৯৪ কোটি প্রাপ্তবয়স্ককে টিকা দিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। কীভাবে তা সম্ভব? এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ জানান, জুলাই পর্যন্ত ভারতের হাতে ৫৩৬ মিলিয়ন টিকা থাকবে। অগাস্ট থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতের হাতে থাকবে আরও ১৩৩৬ মিলিয়ন টিকা। এর সাহায্যে ৯৪ কোটি দেশবাসীর টিকাকরণ করা সম্ভব হবে। উল্লেখ্য, এদিনই ৪৪ কোটি টিকার অর্ডার করেছে কেন্দ্র। ২৫ কোটি কোভিশিল্ড এবং ১৯ কোটি কোভ্যাক্সিনের ডোজ কিনতে চেয়ে সেরাম ইনস্টিটিউট এবং ভারত বায়োটেককে অর্ডার দিয়েছে কেন্দ্র। এই টিকার জন্য ৩০ শতাংশ টাকা অ্যাডভান্সে দিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র।
ভূষণ জানান, অগাস্ট থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে কোভিশিল্ডের ৫০০ মিলিয়ন ডোজ, কোভ্যাক্সিনের ৩৮৬ মিলিয়ন ডোজ, স্পুটনিক ভি-র ১০০ মিলিয়ন ডোজ, বায়োলজিকাল ই-র ৩০০ মিলিয়ন ডোজ এবং জাইডাস ক্ল্যাডিয়ার ৫০ মিলিয়ন ডোজ ভারত সরকারের হাতে থাকবে। যার অর্থ, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারের হাতে মোট ১৮৭২ মিলিয়ন ডোজ থাকবে। যা দিয়ে ৯৪ কোটি মানুষের দুই ডোজ টিকাকরণ সম্ভব। এছাড়াও ভারতীয় বাজারে শীঘ্রই মডার্না জনসন অ্যান্ড জনসন এবং ফাইজারের টিকা আসার কথা। এছাড়াও বাজারে একাধিক নেজাল ভ্যাকসিনও (নাকের মাধ্যনে প্রয়োগ করা যাবে এমন টিকা) আশতে পারে।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রের কথা মতো যদি ২০২১ সালের মধ্যে টিকাকরণ সম্পন্ন করতে হয়, তাহলে জুন মাস থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে আরও ১ কোটি ৬৭ লক্ষ ডোজ দিতে হবে। অঙ্ক কষে দেখলে প্রতি মাসে দেশে ২৩.৮ কোটি করে ডোজ দিতে হবে। তবে জুন মাসে সরকারের হাতে ১.২ কোটি টিকা থাকবে। অর্থ, জুলাই থেকে টিকাকরণের হার আরও বাড়াতে হবে। লক্ষ্যে পৌঁছতে হলে জুলাই থেকে প্রতি মাসে ২৫.৮ কোটি ডোজ দিতে হবে।
এদিকে কেন্দ্রের তরফে নয়া নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, করোনা টিকা নষ্ট করা হলে কেন্দ্রের থেকে টিকা পেতে সমস্যায় পড়বে রাজ্যগুলি। গত মাসে ঝাড়খণ্ড ও ছত্তিশগড়ের বিরুদ্ধে যথাক্রমে ৩৭ ও ৩০ শতাংশ টিকার ডোজ নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছিল। বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশও ১১ শতাংশ ডোজ নষ্ট করেছে বলে অভিযোগ। যদিও তিন রাজ্যেরই দাবি, এই তথ্য সঠিক নয়। প্রকৃতরূপে টিকা নষ্ট হয়েছে প্রায় ৫ শতাংশ।