২০২২ সালের শুরু থেকে দেশে করোনা ভ্যাকসিনের নয়া পর্ব চালু হবে। এই সময়, ১৮ বছরের নিচে যারা রয়েছে, তাদের ভ্যাকসিনেশন শুরু হবে। এদিকে, একই সঙ্গে কেন্দ্র জানিয়েছে, স্বাস্থ্যকর্মী, করোনা যোদ্ধা সহ বিভিন্ন বর্ষীয়ান যাঁদের কোমর্বিডিটি কেস রয়েছে তাঁদের দেওয়া হবে বুস্টার ডোজ। এই দুই ভিন্ন ভিন্ন পর্ব কীভাবে সম্পন্ন হবে, তা নিয়ে কেন্দ্র থেকে রাজ্যগুলির কাছে ইতিমধ্যেই এসে গিয়েছে নির্দেশিকা। সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য কর্তাদের সঙ্গে মঙ্গলবারই এই বিষয়ে ভার্চুয়াল মাধ্যমে আলোচনায় বসেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজীব ভূষণ।
কেন্দ্রীয় নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আগামী ২০২২ সালের ৩ রা জানুয়ারি থেকে শুরু হবে ভ্যাকসিনেশের পরবর্তী পর্ব। সেই পর্বে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, বাংলায় ৪৮ লক্ষ ২৩ হাজার জন ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী রয়েছে। তাদের সকলকেই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে রাজ্য প্রশাসন জানিয়েছে। এছাড়াও যাঁরা ষাটোর্ধ্ব আর যদি তাঁদের কোনও কোমর্বিডিটি কেস থাকে তাহলে তাঁদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। যাঁদের কোমর্বিডিটি রয়েছে তাঁদের প্রমাণপত্র পেশ করতে হবে না। তবে বুস্টার ডোজ নেওয়া যাবে কি না তা নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে। এছাড়াও স্বাস্থ্যকর্মী, করোনা যোদ্ধাদেরও দেওয়া হবে বুস্টার ডোজ। একনজরে দেখে নেওয়া যাক নয়া পর্বের এই ভ্যাকসিনেশন নিয়ে কেন্দ্রীয় নির্দেশিকায় কী উঠে এসেছে?
১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের ভ্যাকসিনেশনের জন্য অনলাইনে বুকিং বা কেন্দ্রে গিয়ে বুকিং করা যেতে পারে।
১ জানুয়ারি থেকে মোবাইলে কোউইন অ্যাপে বুক করা যাবে নাম। রেজিস্ট্রেশন শুরু হবে ৩ রা জানুয়ারি থেকে।
১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের জন্য পৃথক ভ্যাকসিন কেন্দ্র তৈরির নির্দেশ রয়েছে। ২০২২ সালের ৩ রা জানুয়ারি থেকে শুরু হবে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ।
১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের শুধুই কোভ্যাক্সিন দেওয়া হবে। কারণ এই ভ্যাকসিনই একমাত্র ছাড়পত্র পেয়েছে এই বয়সীদের ভ্যাকসিনেশনের জন্য।
১০ জানুয়ারি থেকে কোমর্বিডিটি সম্পন্ন ষাটোর্ধ ব্যক্তিদের , করোনাযোদ্ধা এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের বুস্টার ডোজের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
যে সমস্ত রাজ্যে ভোট হতে চলেছে, সেখানে ভোটকর্মীদের করোনা যোদ্ধা হিসাবে গণ্য করা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা।