শিশির গুপ্ত
তিব্বতে যে ভাবে রাস্তা বানাচ্ছে চিন, তাতে বদলাচ্ছে নেপালের নদীপথ। ধীরে ধীরে নেপালের উত্তর ভাগে চিন দখল করে নিচ্ছে। এমনই রিপোর্ট পেশ করেছে নেপালের কৃষি দফতর যেটির সন্ধান পেয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
সেই নথি অনুযায়ী,নেপালের ভূখণ্ডের অংশবিশেষ ইতিমধ্যেই চলে গিয়েছে চিনের আওতায়। উত্তর নেপালে এরকম আরো জমি চিনের কাছে চলে যেতে পারে যদি নদীপথ বদল হয় বলেই কৃষি দফতর জানিয়েছে। শয়ে শয়ে হেক্টার জমি এভাবে হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে বলেই চিন্তা।
কৃষি মন্ত্রকের সমীক্ষা দফতরেরে রিপোর্ট অনুযায়ী সম্ভাবনা আছে ওই অঞ্চলে সশস্ত্র পুলিশের বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট তৈরি করবে চিন।
নেপালের সঙ্গে চিনের সীমান্ত আছে পূর্ব দিকে। সেখানে ৪৩টি পাহাড় পর্বত প্রাকৃতিক সীমান্ত হিসাবে কাজ করে। তা ছাড়াও আছে ছটি চেক পয়েন্ট বাণিজ্যের স্বার্থে। ১১টি নদীর পথ এখনও পর্যন্ত সরে গিয়েছে। এর ফলে ইতিমধ্যেই ৩৬ হেক্টর জমি চলে গিয়েছে নেপালের চারটি জেলা জুড়ে।
গত বছর প্রথম এই খবর জানিয়েছিল কেপি শর্মা ওলির সরকার। সেই নিয়ে নেপালের পথে বিক্ষোভও হয়। কিন্তু তারপর কৌশলগত ভাবে ভারত বিরোধী ইস্যুগুলিকে ইন্ধন দিতে থাকেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী। এর কারণ হচ্ছে চিনের সরকারের হস্তক্ষেপে তার গদি বেঁচেছিল এপ্রিল মাসে। দুটি সংবিধান সংশোধনীকে বাতিল করে নিজের মুখ পুড়িয়েও গদি বাচিয়েছিলেন ওলি।
তারপর মানস সরোবরে যাওয়ার জন্য রাজনাথ সিং যেই মুহূর্তে লিপুলেখ পাস অবধি রাস্তা উদ্বোধন করেছিলেন. একটা এজেন্ডা পেয়ে যান ওলি ভারত বিরোধী সেন্টিমেন্টকে সুড়সুড়ি দেওয়ার জন্য।
ভারত যে ম্যাপ নিয়ে আলোচনা করতে রাজি, সেই প্রস্তাবও তাকে দেওয়া হয়েছিল, সেটা বেমালুম চেপে যান তিনি। তারপর ভারতও নিজের অবস্থান শক্ত করে। নয়া ম্যাপ নেপালি সংসদে অনুমোদন পাওয়ার পর নয়া দিল্লি বলে যে আলোচনা করার মতো পরিস্থিতি তৈরী করতে হবে ওপি শর্মা ওলিকে।