যেভাবে আবহাওয়ার জন্যে সতর্কতা জারি করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন রঙের ব্যবহার করা হয় কোড হিসেবে, সেই একই ভাবে এবার কোভিড সতর্কতা জারি করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন রঙের ব্যবহার করবে দিল্লি সরকার। এই সতর্কতার উপর নির্ভর করেই পরবর্তীতে দিল্লিতে লকডাউন জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
করোনার পজিটিভিটির হারের উপর ভিত্তি করেই পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যে দিল্লিতে লকডাউন জারি হবে নাকি উঠে যাবে। জানা গিয়েছে পরপর দুই দিন যদি দিল্লিতে করোনা পজিটিভিটি হার ২ শতাংশের বেশি থাকে তাহলে দিল্লি শপিং মল, বাজার, রেস্তোরাঁ, পাব, মেট্রো পরিষেবা বন্ধ করে দিয়ে সম্পূর্ণ লকডাউন জারি হবে দিল্লিতে। এদিকে যদি পজিটিভিট হার যদি ০.৫ শতাংশ বা তার বেশ হয়, সেক্ষেত্রে আংশিক লকডাউন জারি হবে। সেক্ষেত্রে জোড়-বিজোড় ফর্মুলা জারি হবে গাড়ি চলাচল এবং বাজারের দোকান খোলার ক্ষেত্রে।
এই পুরো পরিকল্পনাটিকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয় দিল্লি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের বৈঠকে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল বৈজাল। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সতর্কতা পর্যায় লালের যত কাছে যাবে ততই বিধিনিষেধের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি বাড়বে। আরও বেশি ক্ষেত্রের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে।
এদিকে অন্য রাজ্য থেকে দিল্লিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে টিকার দুই ডোজ বা আরটিপিসার-এর নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক। এদিকে পজিটিভিটি রেট যদি ৫ শতাংশের বেশি চলে যায় তাহলে লাল সতর্কতা জারি হবে। সেক্ষেত্রে ভিনরাজ্য থেকে দিল্লিতে প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হবে।
পজিটিভিটি হার পরপর দুই দিন ০.৫ শতাংশের বেশি হলে তা হলুদ সতর্কতা বলে গণ্য হবে। পজিটিভিটি হার পরপর দুই দিন ১ শতাংশের বেশি হলে বা সাপ্তাহিক গড় সংক্রমণ ৩৫০০ হলে তা অ্যাম্বার সতর্কতা বলে গণ্য হবে। এদিকে পজিটিভিটি হার পরপর দুই দিন ২ শতাংশের বেশি হলে বা সাপ্তাহিক গড় সংক্রমণ ৯০০০ হলে তা কমলা সতর্কতা বলে গণ্য হবে। পজিটিভিটি হার পরপর দুই দিন ৫ শতাংশের বেশি হলে বা সাপ্তাহিক গড় সংক্রমণ ১৬০০০ হলে তা অ্যাম্বার সতর্কতা বলে গণ্য হবে।