২০২০ সালের ২৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রী দেশব্যাপী লকডাউনের ঘোষণা করেছিলেন। ২৫ মার্চ থেকে কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায় দেশ। দুই দিন আগেই সেই লকডাউন ঘোষণার ১৪ মাস পূর্ণ হয়। এই আবহে গত বছরের তুলনায় কোথায় দাঁড়িয়ে ভারতীয় অর্থনীতি? ২০২০ সালের ২৫ মার্চ থেকে ৬৮ দিন পুরো স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল দেশ। সেই লকডাউনের ধাক্কায় ভারতীয় অর্থনীতি তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। একবথর পর ফের একবার দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ফিরে আসছে লকডাউনের সেই স্মৃতি।
লকডাউনের জেরে ২০২০ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ভারতীয় অর্থনীতি ২৪ শতাংশ সংকুচিত হয়। এবছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার জানা যাবে আগামী ৩০ জুন। তবে অর্থনীতির আরও বেশ কয়েকটি মার্কারের নিরিখে দেখে নেওয়া যেতে পারে গতবছরের তুলনায় দেশের অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতি।
গতবছর দেশে ব্যারেল প্রতি অপরিশোধিত তেলের দাম কমে দাঁড়িয়েছিল ৪৪.৮২ ডলার। চলতি বছরের এপ্রিলে সেই দাম বেড়ে হয় ৬৩.৪ ডলার। এদিকে গতবছর শেয়ার বাজারে ধস নামে। ২৫,৯৮১.২৪ পয়েন্টে নেমে গিয়েছিল শেয়ার বাজার। ২০২০ সালের ২৩ মার্চ এই পর্যায়ে নেমে গিয়েছিল বম্বে স্ট এক্সচেঞ্জের সূচক। ১৪ মাস পর সেই সূচক প্রায় দ্বিগণ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এর মাঝে ৫০ হাজারের ম্যাজিক ফিগার পার করে সেনসেক্স।
বর্তমান অর্থবর্ষে ভারতের অর্থনীতি ৭.৫ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ৷ তবে, সেই সঙ্গে সতর্কও করা হয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের তরফে৷ যেখানে বলা হয়েছে, করোনা অতিমারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে, আগামী অর্থবর্ষে অর্থনীতির অবস্থা অত্যন্ত ভঙ্গুর হয়ে পড়বে। এদিকে বিশ্বব্যাঙ্কের পূর্বাভাস, আগামী ২০২১-২২ আর্থিক বছরে ভারতের জিডিপি ৭.৫ শতাংশ থেকে ১২.৫ শতাংশে পৌঁছতে পারে৷ তবে এই অগ্রগতি নির্ভর করছে বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর৷ তার মধ্যে অন্যতম করোনার টিকাকরণের বিষয়টি৷
এদিকে করোনার দ্বিতীয় সংক্রমণের জেরে ভারতের অনেক রাজ্যকেই লকডাউনের পথে হাঁটতে হয়েছে। কোনও কোনও রাজ্যে আবার চলছে আংশিক লকডাউন। এর ফলে দেশের অর্থনীতি আবার ব্যাপক ভাবে ধাক্কা খেয়েছে। ফের কর্মসংস্থানের অভাব দেখা দিতে শুরু করেছে।