কীভাবে পুলিশের জালে ধরা পড়ল গ্যাংস্টার বিকাশ দুবে? তা নিয়ে এমনিতেই একাধিক প্রশ্ন উঠছে। তারইমধ্যে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনী মহাকাল মন্দিরের পুরোহিত এবং নিরাপত্তারক্ষীর বয়ানে আরও অসঙ্গতি প্রকট হল।
পুরোহিত গোপাল সিংয়ের দাবি, মহাকাল মন্দিরে আসার জন্য বিকাশের কাছে ভিআইপি পাস ছিল। তিনি বলেন, 'সে মন্দিরে আসে এবং কোথায় ব্যাগ ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখবে, তা জানতে চায়। আমি ওকে সাহায্য করি এবং প্রসাদ দিই। ও মন্দিরের ভিতর চলে যায় এবং প্রার্থনা করে। বাইরে আসার সময় তাকে চিহ্নিত করে আমাদের নিরাপত্তাবাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক রুবি যাদব। মহাকাল পোস্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজয় রাঠৌর। যিনি আরও জেরা করেন। বিকাশ দুবে পালানোর চেষ্টা করে। তবে তাকে ধরে রাখে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী।'
অন্যদিকে মন্দিরের নিরাপত্তারক্ষী লক্ষ্মণ যাদব বলেন, ‘সকাল সাতটা নাগাদ মন্দিরের পিছন গেট দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করে বিকাশ দুবে। ওকে দেখেই বিকাশ বলে সন্দেহ করি। আমাদের দফতরে জানাই এবং ঘণ্টাদুয়েক ধরে তদন্ত চলে।’ তবে তাঁর দাবি, মন্দিরে ঢোকেনি বিকাশ। বিকাশের সঙ্গে কেউ ছিল কিনা, তা নিয়েও কিছুটা অসংগতি ধরা পড়ে তাঁর কথায়।
কীভাবে বিকাশকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা নিয়ে পুলিশের তরফে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। আপাতত ট্রানজিট রিমান্ডে গ্যাংস্টারকে উত্তরপ্রদেশে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান উত্তরপ্রদেশের এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) প্রশান্ত কুমার।