সংখ্যালঘুদের উপর একের পর এক নির্যাতনের অভিযোগ বাংলাদেশে। এই হিন্দু নির্যাতনের বিরুদ্ধে ভারতের বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিবাদ ধ্বনিত হচ্ছে। এবার প্রশ্ন বাংলাদেশ সরকার সেই সংখ্য়ালঘু নির্যাতন কমাতে কতটা আন্তরিক প্রচেষ্টা নিচ্ছে? কতজনকে গ্রেফতার করা হল সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে।
এবার এনিয়ে মুখ খুললেন মহম্মদ ইউনুসের প্রেস সচিব মহম্মদ শফিকুল আলম। প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশে গত ৫ অগস্ট থেকে ২২শে অক্টোবর পর্যন্ত সংখ্য়ালঘুদের টার্গেট করে সহিংসতার ঘটনায় ৮৮টি মামলায় ৭০জন গ্রেফতার হয়েছেন। ঘটনাগুলোর বিষয়ে মামলাও হয়েছে। সেই তালিকাও পুলিশ করছে। এই কারণে মামলা ও গ্রেফতারের সংখ্য়া আরও বাড়বে।জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রেস সচিব।
প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে প্রেস সচিব জানিয়েছেন, সংখ্য়ালঘুদের লক্ষ্য করে কিছু হিংসার ঘটনা হয়েছে। এনিয়ে পুলিশের কাছ থেকে একটা প্রতিবেদন এসেছে। তারা বলছে এসব ঘটনায় মোট ৭০জন গ্রেফতার হয়েছেন। এটা চলমান। ৮৮টি মামলা হয়েছে। এটি অক্টোবর পর্যন্ত। এরপরের যে মামলা সেগুলির তালিকা হচ্ছে। আগামীকাল বুধবার নাগাদ সেই তালিকা পাবেন।…গ্রেফতারের সংখ্যা আরও বাড়বে। মামলার সংখ্যাও দু একটা বাড়তে পারে। কারণ সুনামগঞ্জে একটা ঘটনা ঘটেছে। কিছু কিছু জায়গায় চট্টগ্রাম, ঢাকার তুরাগ, নরসিংদীতে ঘটনা ঘটেছে। সেগুলির প্রতিটির তথ্য সাংবাদিকদের দেওয়া হবে। তারা আশা করছে এই সংক্রান্ত তথ্য নিয়মিত দিতে পারবে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য় অনুসারে ৬২টি মামলা হয়েছে। মামলায় গ্রেফতার ৩৫জন। পূজা মণ্ডপ, উপাসনানয়কেন্দ্রিক হিংসায় পুলিশের কাছে সরাসরি রিপোর্ট অনুসারে মামলা হয়েছে ২৬টি ও তাতে গ্রেফতার হয়েছেন ৩৫জন। সেই সঙ্গেই তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, বাংলাদেশে যাঁরা এই ধরনের ন্যক্করজনক কাজে জড়িত, তাঁদের সবাইকে গ্রেফতার করা হবে।
এবার প্রশ্ন যাদের গ্রেফতার করা হল তাদের পরিচয় কী?
এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যাকে সন্দেহ করা হচ্ছে, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে তাকেই গ্রেফতার করা হচ্ছে। এই যে ৮৮টি মামলার কথা বলা হল, যদিও সংখ্যালঘু হিংসা সংক্রান্ত মামলা, অনেকগুলো ঘটনার ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, তিনি হয়তো মেম্বার ছিলেন তাঁকে আক্রমণ করা হয়েছে। এটাকে কীভাবে নেবেন? কিন্তু যেহেতু হিংসা হয়েছে অপরাধ হয়েছে এগুলোকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হচ্ছে। জানিয়েছেন প্রেস সচিব।