কে সন্দীপ কুমার ও কে জন
মাঘী পূর্ণিমা। কুম্ভে স্নানের পক্ষে অত্যন্ত পবিত্র সময় বলেই মনে করা হয়। বুধবার সেই মাঘী পূর্ণিমায় মহাকুম্ভে বিকেল ৪টে পর্যন্ত অন্তত ১.৯৪ কোটি মানুষ স্নান করলেন। সরকারি তরফ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে।
মেলা কর্তৃপক্ষ মহাকুম্ভে যাঁরা স্নান করলেন তাঁদের উপর গোলাপের পাপড়ি বৃষ্টি করে। সকাল ৮টার পর থেকে হেলিকপ্টারে করে এই ফুলের পাপড়ি ফেলা হয়েছে। এবারের মহাকুম্ভে এটা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। আগামী ২৬শে ফেব্রুয়ারি শিবরাত্রির স্নান রয়েছে। তারপরই বন্ধ হবে মহাকুম্ভ। গত ১৩ই জানুয়ারি পৌষ পূর্ণিমা স্নানের মাধ্যমে এই মহাকুম্ভ শুরু হয়েছিল। এরপর লক্ষ লক্ষ মানুষ এসেছেন। এর আগে মকর সংক্রান্তি( ১৪ জানুয়ারি), মৌনি অমাবস্যা( ২৯শে জানুয়ারি) ও ৩ ফেব্রুয়ারি বসন্ত পঞ্চমীতে এই পূণ্যস্নান হয়েছিল।
এদিকে বুধবার ভোর থেকেই লক্ষ লক্ষ মানুষ সঙ্গমে স্নান করার জন্য় আসছিলেন। উত্তরপ্রদেশের মুখ্য়মন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সকাল থেকে নজর রাখছিলেন। মেলা প্রশাসন পূণ্যার্থীদের সুবিধার জন্য নানা ব্যবস্থা করে। মাঘী পূর্ণিমার দিনে ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য উত্তরপ্রদেশের মুখ্য়মন্ত্রী তাঁর বাসভবনে দ্রুত মিটিং ডেকেছিলেন। ডিজিপি প্রশান্ত কুমার, মুখ্যসচিব( হোম) সঞ্জয় প্রসাদ সহ মুখ্য়মন্ত্রী সচিবালয়ের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। সূত্রের খবর, লাইভে গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছিলেন যোগী।
এর আগে বসন্ত পঞ্চমীর দিনেও ওয়ার রুম থেকে ভোর সাড়ে তিনটে থেকে নজরদারি করছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। পদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে একটা টিম সব কিছুর উপর নজর রাখছিলেন।
মহাকুম্ভ নগর জেলা শাসক বিজয় কিরণ আনন্দ ও ডিআইজি মহাকুম্ভ বৈভব কৃষ্ণ মেলার নির্দিষ্ট জায়গার উপর নজর রাখেন। এদিকে মাঘী পূর্ণিমা মানে কার্যত মহাকুম্ভে বিদায় ঘণ্টা বাজতে শুরু করল। সেই কোন ভোর থেকে এদিন দলে দলে ভক্তরা এসে সঙ্গমে ডুব দিতে থাকেন। এদিকে এর আগে পদপিষ্ট হয়ে বহু ভক্তের মৃত্যু হয়েছিল। সেকারণে এবার আগে থেকেই সতর্ক ছিল মহাকুম্ভ প্রশাসন।
বুধবার যত সময় এগিয়েছে ততই ভক্তের সংখ্য়া বাড়তে থাকে। ভোর ৪টের সময় ৪৮.৩৩ লাখ ভক্ত পূণ্য় স্নান করেন। সকাল ৬টার মধ্য়ে সেই সংখ্যা বেড়ে হয়ে যায় ৭৩.৬০ লাখ জন। সকাল ৮টা পর্যন্ত ১.০২ কোটি, সকাল ১০টার মধ্য়ে ১.৩০ কোটি, দুপুর ১২টা নাগাদ ১.৫৯ কোটি, দুপুর ২টো নাগাদ ১.৮৩ কোটি, বিকেল ৪টে নাগাদ ১.৯৪ কোটি ভক্ত পূণ্যস্নান করেন সঙ্গমে।