প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য তাঁর থেকে ‘অনেক বেশি যোগ্য ছিলেন’ প্রণব মুখোপাধ্যায়। এ কথা বলেছিলেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং নিজেই। কিন্তু রাজনীতির ঘোরপ্যাচে তাঁর বহু আকাঙ্খিত পদে আসিন হতে পারেননি প্রণববাবু।
২০১২ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ সালের জুলাই পশ্চিমবঙ্গের এই কংগ্রেস নেতা ভারতের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। এই পদে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য তাঁকে দীর্ঘ ৬৫ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। কিন্তু বাস্তব বলছে অন্য কথা। প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রতিযোগিতা থেকে সুকৌশলে সরিয়ে দিতেই প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সামনে ‘রাষ্ট্রপতি’ নামক মিষ্টি থালায় সাজিয়ে তুলে দিয়েছিল কংগ্রেস। তিনি কংগ্রেসের যত বিশ্বস্ত সেবকই হোন না কেন, রাজীব ও সোনিয়া গান্ধীর ছেলে রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী বানানোর চেষ্টাই চলেছে সর্বক্ষণ।
এমনকী, কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর ইচ্ছা ও সিদ্ধান্তে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পরিবর্তে ড. মনমোহন সিংকে প্রধানমন্ত্রী করা হয়েছিল। জানা যায়, রাষ্ট্রপতির কাছে সরকার গড়ার ব্যাপারে আলোচনার আগে সোনিয়া গান্ধী প্রণববাবুর সঙ্গে বিশেষ একটা পরামর্শও করেননি। কারণ, প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য তিনি ড. মনমোহন সিং–কে আগে থেকেই বাছাই করে রেখেছিলেন৷
নিজের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘দ্য কোয়ালিশন ইয়ার্স ১৯৯৬–২০১২’–এ প্রণব মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, জওহরলাল নেহরুর সমসাময়িক কংগ্রেসের নীতিনির্ধারক নেতা কুমারস্বামী কামরাজ বলেছিলেন, ‘নো হিন্দি, নো পিএম’। অর্থাৎ হিন্দি জানে না এমন কাউকে প্রধানমন্ত্রী করা যাবে না। প্রণববাবু তেমন ভাল হিন্দি জানতেন না। সে কারণে তিনি নাকি আবার দুঃখিতও হননি!