জেরার্ড ডি সুজা
মহারাষ্ট্রের মতো পরিস্থিতি হতে পারত গোয়ায়। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তা ভেস্তে যায়। গোটা কংগ্রেসটাই চলে যেতে পারত বিজেপি শিবিরে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হল না। কেন? ওই গোপন মিটিংয়ে ছিলেন এমন এক কংগ্রেস বিধায়কের দাবি, মোটামুটি সব ঠিকই হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কতজন শেষ পর্যন্ত আসবেন সেটা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়।
সূত্রের খবর, দিগম্বর কামাত এনিয়ে দিল্লিতে নেতাদের সঙ্গে আলোচনাও সেরে রেখেছিলেন। কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে তিনি গেরুয়া নেতাদের সঙ্গে দেখাও করেছিলেন। বিরোধী দলনেতার পদ না পাওয়ার পর থেকেই তিনি নানা ছক কষা শুরু করেন বলে অভিযোগ।
এদিকে দুই তৃতীয়াংশ বিধায়ককে ভাঙিয়ে বিজেপিতে আনার ব্যাপারে কথাবার্তা হয়েছিল। আট জন বিধায়কের মধ্য়ে দুজনকে ক্যাবিনেট মন্ত্রী করা হবে বলেও আশ্বাস এসেছিল। এরপর কামাত আর লোবো একজোট হন। আটজন বিধায়ককে বোঝানোর প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে যায়। পাঁচজন বিধায়ক মোটামুটি বুঝে গিয়েছিলেন। কিন্তু তিনজন এমএলএ নানা দ্বিধার মধ্য়ে ছিলেন।
এদিকে সূত্রের খবর, গত ৯ জুলাই রাতে একটি হোটেলে জড়ো হয়ে পরেরদিন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার প্ল্যান ছিল তাঁদের। কীভাবে কংগ্রেস হাই কমান্ডকে দোষারোপ করা হবে তারও ছক তৈরি হয়ে গিয়েছিল। এরপরই কংগ্রেসের মধ্যে ব্যাপারটা জানাজানি হয়ে যায়। কংগ্রেস নেতা দীনেশ গুন্ডু রাও চলে আসেন। তিনি বিধায়কদের নিয়ে মিটিংয়ে বসেন। একাধিক বিধায়ক আর সাহস করে এগোতে চাননি। এরপরই প্ল্যান একেবারে ভেস্তে যায়।