'স্যার, আমি ট্রেনের ১৫টি কোচ লিজে নিতে চাই। আমি একটি প্রাইভেট ট্রেন চালিয়ে যাত্রীদের পুরীতে নিয়ে যাব।' উপরের আবেদনটি উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরের এক ব্যবসায়ীর। ভারতীয় রেলওয়ের গৌরব যাত্রা প্রকল্পের অধীনে চলা বগিগুলিকে ইজারা দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন তিনি৷
ওই ব্যবসায়ী বলেন, গোরখপুর থেকে পুরী পর্যন্ত সরাসরি কোনও ট্রেন নেই। এই ট্রেনের মাধ্যমে প্রবীণদের জগন্নাথ দর্শনের সুযোগ হবে। তাঁর উদ্দেশ্য হল বয়স্ক যাত্রীদের সর্বোচ্চ ছাড়ে পুরী পর্যন্ত ভ্রমণ করানো। ব্যবসায়ীর আবেদন পাওয়ার পর এখন রেল এ বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, অফিসে ইজারা নিয়ে আরও কয়েকজন খোঁজখবর নিয়েছেন। এ ধরনের ট্রেন চালালে উপকৃত হবেন তীর্থযাত্রীরা। আরামে ভ্রমণ করতে পারবেন তাঁরা।
রুট নিজেই বেছে নেওয়া যাবে :
কোচের জীবনকাল পর্যন্ত ইজারার মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণভাবে, আগ্রহী পক্ষ নিজেই ব্যবসার মডেল তৈরি করবে। এ সংক্রান্ত সমস্ত সিদ্ধান্তও নেবে। তার মধ্যে থাকছে রুট, ভ্রমণপথ, ভাড়া ইত্যাদি।
শুধু পুরীর জন্য ট্রেন চালাতে চান কেন?
ওই ব্যবসায়ীর কথায়, গোরখপুর থেকে সরাসরি ট্রেন না থাকায় বর্তমানে বারাণসী যেতে হয়। এভাবে একবার তাঁর সঙ্গীদের সঙ্গে বাসে করে বারাণসী যাওয়ার সময়ে কয়েকজনের জিনিসপত্র চুরি হয়। পুরীতে না গিয়ে সবাই ফিরে আসেন গোরখপুরে। এরপর বহুবার গোরখপুর থেকে পুরী সরাসরি ট্রেন চালানোর জন্য চিঠি দেওয়া হলেও কিছুই হয়নি। ফলে লিজে বগি নিয়ে পুরীর ট্রেন চালু করলে তাতে সমস্যার সুরাহা হবেন বলে মনে করছেন তিনি।
ইজারা নেওয়ার জন্য কত দিতে হবে?
অনলাইনেন নথিভুক্ত করার সময় আবেদনকারীকে একবারে এক লাখ টাকা জমা দিতে হবে। এই টাকা ফেরত দেওয়া হবে না। রেজিস্ট্রেশনের পরে ব্যবহারের অধিকারের জন্য ১৫টি কোচ (৬টি থার্ড এসি, ৬টি স্লিপার, SLR-2 এবং প্যান্ট্রিকার-১) ব্যবহারের জন্য,৩৭,৬১,০০৪ টাকা একক পরিমাণ অর্থ দিতে হবে৷ এরপরে এই ১৫টি কোচের জন্য ২,৫২,৯৪,৬০৬ টাকা লিজ ফি হিসাবে দিতে হবে। এরপর ১৫ বছরের জন্য এই কোচের মালিকানা পাওয়া যাবে। এত কিছুর পরেও, প্রতি ট্রিপের জন্য প্রতি কিলোমিটারে ৯০০ টাকা করে অপারেটিং ফি নেওয়া হবে৷