কোটিপতি হওয়ার বাসনা অনেকেরই। কিন্তু তার পথ কেউ চেনেন, কারও বা অজানা। কত তাড়াতাড়ি কোটিপতি হওয়া যায়, তার একটা মোটামুটি হিসেব পাওয়া সম্ভব।
প্রথমেই শুরু করা যাক থোক টাকা সঞ্চয় পদ্ধতি দিয়ে। নিয়মিত নির্দিষ্ট থোক টাকা জমা দিলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোটিপতি হওয়া সম্ভব। নীচের টেবিলে দেখানো হল, থোক কত টাকা কত সময় ধরে জমাতে পারলে আপনি কোটি টাকার মালিক হতে পারবেন।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ধরা যাক ২০ লাখ টাকা ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিট বা অনুরূপ প্রকল্পে জমা দিলে বাৎসরিক ৬% সুদ পাওয়া গেলে এক কোটি টাকা পেতে ২৮ বছর সময় লাগবে। কী ভাবে তা সম্ভব, দেখা যাবে দ্বিতীয় টেবিলে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, নির্দিষ্ট সময়কালে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বিনিয়োগ করলে কেনার খরচ সমান ভাগে ভাগ করা সম্ভব। এই কারণে, অধিকাংশ খুচরো বিনিয়োগকারী SIP পদ্ধতিতে মাসিক লগ্নিতে বিশ্বাসী। মাসিক ছাড়াও বিনিয়োগ করা যায় সাপ্তাহিক, দৈনিক বা বছরে চার বার। বোঝার সুবিধার জন্য এক্ষেত্রে মাসিক বিনিয়োগের ভিত্তিতে বিনিয়োগ ধার্য করা হল।
মনে রাখা জরুরি, লভ্যাংশের উপরেও কিন্তু কর ধার্য করা হবে। সেই মতো বিনিয়োগ করতে হবে।
স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া-তে ৫-১০ বছরের জন্য ফিক্সড ডিপোজিট-এ সুদের হার দেওয়া হয় বার্ষিক ৫.৫০% হারে। আবার, ইক্যুইটি মাল্টি ক্যাপ মিউচুয়াল ফান্ড-এ গত পাঁচ বছর যাবৎ গড়ে বার্ষিক ৭.৭০% রিটার্ন মেলে। অন্য দিকে, গত পাঁচ বছর যাবৎ গোল্ড ফান্ড-এ গড়ে বার্ষিক ১২.৯৮% রিটার্ন পাওয়া যাচ্ছে।
তবে এক কোটি টাকা আপনার ভবিষ্যৎ জীবন সুরক্ষিত রাখার বিষয়ে যথেষ্ট না-ও হতে পারে। আজ যে কোটি টাকার স্বপ্নে আপনি বিভোর, আগামী ১০, ১৫ বা ২০ বছর পরে তার দাম পড়তে বাধ্য। আসলে মূদ্রাস্ফীতি প্রতিদিন আমাদের টাকার দাম খেয়ে ফেলছে। মুদ্রাস্ফীতির হার বছরে ৬% ধরলে ৫ বছর পরে আজকের এক কোটি টাকার মূল্য হবে তখনকার ১.৩৪ কোটি টাকার সমান। ১০ বছরে তা দাঁড়াবে ১.৭৯ কোটি টাকায় আর ২০ বছর পরে তা হবে ৩.২১ টাকার সমান।
অবসর জীবন, সন্তানের শিক্ষা প্রভৃতি চাহিদা পূরণ করতে হলে কোন উপায়ে সঞ্চয় করা দরকার, অর্থনৈতিক পরামর্শদাতার সঙ্গেসসে বিষয়ে আলোচনা করা জরুরি।