আপনি কি একজন বেতনভোগী চাকুরিজীবী? একটি নতুন স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকেল (SUV) কিনতে চাইছেন? বড় গাড়ির স্বপ্ন অনেকেরই থাকে। কিন্তু বড় গাড়ি তো কিনলেই হল না। তার রক্ষণাবেক্ষণের খরচও অনেক। মোটা টাকার ডাউন পেমেন্টের পরেও বেশ চড়া হারে ঋণের মাসিক কিস্তি(EMI) মেটাতে হয়।
মনে রাখবেন, গৃহ ঋণের ক্ষেত্রে কর ছাড় পেলেও, গাড়ির ঋণে কিন্তু আপনি কোনও কর ছাড় পাবেন না। আরও পড়ুন: সত্যিই গঙ্গার তলা দিয়ে ছুটছে মেট্রো? ঘোরের মধ্যে ট্রায়াল রান, সাক্ষী HT বাংলা
তবে এক্ষেত্রে একটি অপশন রয়েছে। আপনির আপনার অফিসের মাধ্যমেই একটি SUV লিজ নিতে পারেন। লিজের মেয়াদ শেষের পরেই, আপনি SUV-র মালিকানা পেয়ে যেতে পারেন। এই পন্থায় চললে কর বাবদ কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত বাঁচাতে পারবেন।
বেশ কিছু বড় সংস্থাতেই এই সুবিধা প্রদান করা হয়। বেতনভোগীরা নিয়োগকারীর মাধ্যমে গাড়ি লিজ নিলে, সেক্ষেত্রে কর ছাড়ের সুযোগ মেলে। এই পদ্ধতিতে গাড়ির দামের ২০-৪০% পর্যন্ত কর সাশ্রয় হতে পারে।
গাড়ি লিজ করার ক্ষেত্রে আপনাকে নিয়মিত ভাড়ার টাকা দিতে হবে। আর তার পরিবর্তে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন। নিয়োগকারী সংস্থার নিয়মের উপর পুরোটা নির্ভর করছে। এর মেয়াদ তিন থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত হতে পারে। লিজের মাধ্যমে গাড়ি নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা কিন্তু অনেকটা গাড়ির জন্য ঋণের অনুরূপই। EMI-এর বদলে আপনি লিজের টাকা দিচ্ছেন। লিজের শেষে, আপনি চাইলে অবশিষ্ট টাকা দিয়ে, দাম মিটিয়ে গাড়িটা কিনে নিতে পারেন।
এই লিজ সাধারণত শুধুমাত্র গাড়ির এক্স-শোরুম দামের উপর ভিত্তি করে হতে পারে (একে ড্রাই লিজ বলা হয়)। আবার আরেক ধরণের লিজে অন-রোড ট্যাক্স থেকে শুরু করে বিমা, আনুষাঙ্গিক এবং রক্ষণাবেক্ষণ(একে ওয়েট লিজ বলা হয়) সবকিছুই কভার করা হয়।
লিজিং দুই ধরনের হয়: অপারেটিং লিজ এবং ফাইনান্স লিজ।
অপারেটিং লিজের অধীনে, গাড়িটি লিজিং কোম্পানির নামেই রেজিস্টার্ড হয়। লিজের মেয়াদ শেষে, কর্মীরা নতুন গাড়িতে আপগ্রেড করতে পারেন, অথবা বাকি টাকা শোধ করে একটি নতুন গাড়ি কিনে নিতে পারেন।
ফাইনান্স লিজে, লিজিং সংস্থা নিয়োগকারী এবং কর্মীরা একটি ত্রি-পক্ষীয় চুক্তিতে প্রবেশ করেন। নিয়োগকাকী গাড়ির লিজদাতা এবং কর্মী নিজে তার সহ-লিজদাতা। গাড়ি কর্মচারীর নামেই রেজিস্টার্ড হয়। লিজের মেয়াদ শেষে মালিকানা কর্মীর কাছেই হস্তান্তর করা হয়। এই ফাইনান্স লিজ অপশনকেই কর্মীদের জন্য বেশি ভাল মনে করা হয়। আরও পড়ুন: ফের গাড়ির দাম বাড়াল মারুতি সুজুকি! কত টাকা বেশি খসবে? কবে থেকে বাড়ছে?
কোম্পানির থেকে গাড়ি লিজ করা হলে সেটা কর্মীদের CTC-র অধীনেই ঢুকে যায়। এটি আদতে আপনার বেতনেরই অংশ হয়ে যায়। নিয়োগকারী সরাসরি লিজিং কোম্পানিকেই এই টাকা প্রদান করেন। এটি কর্মীদের করযোগ্য বেতনের মধ্যে পড়ে না।
নিয়োগকারী ব্যবসায়িক খরচ হিসাবে গাড়ির লিজ ভাড়া দাবি করতে পারেন। অনেক কোম্পানি গাড়ির লিজের মধ্যে রক্ষণাবেক্ষণ, ড্রাইভারের বেতন এবং জ্বালানী খরচও অফার করে। এই ধরনের খরচগুলি কর্মীর করযোগ্য বেতন থেকে বাদ দেওয়া হয়।
এই পদ্ধতিতে বড়সড় করও সঞ্চয় হতে পারে। গাড়ি কেনার সঙ্গে যদি এর তুলনা করেন, সেক্ষেত্রে মোট খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup