করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে বড়দের পাশাপাশি শিশুরাও আক্রান্ত হচ্ছে দ্বিতীয় প্রবাহে। এই পরিস্থিতিতে শিশুদের মধ্যে করোনার উপসর্গ গুরুতর না হওয়ায় তা শনাক্ত করা যাচ্ছে না। এই বহে এবার গাইডলাইন প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কেন্দ্র জানিয়েছে, শিশুদেরও মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, বার বার হাত ধোওয়া এবং রেসপিরেটরি হাইজিন মেনে চলতে হবে। দুই বছরের উপরে সমস্ত শিশুকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিচ্ছে সিডিসি। এই পরিস্থিতিতে বাবা-মাকে সতর্ক নজর রাখতে হবে।
এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক গাইডলাইন প্রকাশ করে জানায় যে করোনার সাধারণ লক্ষণগুলি হল জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, অবসন্নতা, মায়ালজিয়া, রাইনোরিয়া, গলা ব্যথা, ডায়রিয়া, গন্ধ চলে যাওয়া, স্বাদ চলে যাওয়া। যদি শিশুর উপসর্গগুলি হালকা হয়ে থাকে তাহলে ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা অন্তর অন্তর ১০-১৫ মিলিগ্রাম প্যারাসিটামল দিন। বেশি করে ফ্লুইড খাওয়ান। পুষ্টিকর খাবার খআওয়ান। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে হাইড্রোক্সাইক্লোরোকুইন, ফাভিপিরাবির, ইভারমেকটিন, রিটোনাভি, রেমেডেসিভির, উমিফেনোভাইর প্রয়োগ না করার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র।
মৃদু উপসর্গের ক্ষেত্রে ভিডিয়ো বা টেলি কনসাল্টেশন নেওয়া যেতে পারে। যদি শিশুর তিনদিনের বেশি জ্বর থাকে, শ্বাসপ্রশ্বাস দ্রুত হয়, শ্বাস নিতে সমস্যা, ক্লান্তি আসে, ডায়রিয়া হয় বা অক্সিজেন লেভেল ৯৫ শতাংশের নিচে নেমে যায়, তখন সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করুন যে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন আছে কি না।
এদিকে শিশুদের মধ্যে মাল্টি-সিস্টেম ইনফ্লেমেটরি সিনড্রোম নামে একটি উপসর্গ লক্ষ্য করছেন চিকিৎসকরা। এই সিন্ড্রোমের জেরে হৃদযন্ত্র, ফুসফুস, কিডনি, মস্তিষ্ক, ত্বক, চোখ বা পাচনক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত অঙ্গগুলিতে ইনফ্লেমেশন হয়। এই সিন্ড্রোমটি হলে হলে শিশুদের মধ্যে নানা উপসর্গ দেখা যায়। যেমন পেটে যন্ত্রণা, বমি, ডায়রিয়া, ঘাড়ে ব্যাথা, রাশ, লাল চোখ বা অতিরিক্ত ক্লান্তি। এদিকে আপনার শিশুর যদি কোভিড থেকে সেরে ওঠার তিন থেকে চার সপ্তাহ পর প্রবল জ্বর হতে থাকে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।