ভুয়ো করোনাভাইরাস টিকা দেওয়া হচ্ছে না তো? কসবা ভুয়ো টিকাকাণ্ডে সামনে আসার পর অনেকেরই মনে সেই প্রশ্নটা ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে। তবে শুধু বাংলা নয়, পুরো বিশ্বেই ভুয়ো টিকা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি দিয়ে ভুয়ো করোনা টিকার বিষয়ে সতর্ক করল কেন্দ্র। সেইসঙ্গে কোনও টিকা আসল না নকল, তা কীভাবে বোঝা যাবে, সেই বিষয়েও জানানো হল।
কোভিশিল্ড আসল কিনা, কীভাবে বুঝবেন?
১) কোভিশিল্ডের লেবেলের রং গাঢ় সুবজ হবে।
২) আসল কোভিশিল্ড হলে ব্র্যান্ডনেম উল্লেখ করা থাকবে। তাতে থাকবে ট্রেডমার্ক।
৩) যে লেখা থাকবে, তা ছাপা অক্ষরে হবে। বিশেষ সাদা কালিতে ছাপা থাকবে। যাতে স্পষ্ট হয় এবং সহজেই পড়া যায়।
৪) জেনেরিক নাম যে লেখা থাকবে, সেটির ধরন ‘বোল্ড’ হবে না। অর্থাৎ বেশি গাঢ় হবে না।
৫) ‘CGS NOT FOR SALE’ লেখা থাকবে।
৬) সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার (এসআইআই) লোগো বিশেষ কোণ এবং জায়গায় ছাপা থাকবে। যা শুধুমাত্র কয়েকজনই চিহ্নিত করতে পারবেন।
৭) কোভিশিল্ডের ভায়ালের উপর যে লেবেল থাকবে, তাতে বিশেষ ধরনের পদ্ধতির ব্যবহার করা হয়েছে। যা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কোণ থেকে দেখা যাবে।
৮) বিভিন্ন কৌশলগত জায়গায় বিশেষ ধরনের নকশার কিছুটা হেরফের করা হয়েছে। ছাপার অক্ষরের নকশার কয়েকটি বাড়তি উপাদান যোগ করা হয়েছে। যা দিয়ে সহজেই কোভিশিল্ড আসল কিনা, তা জানা যাবে। তবে সকলে সেটা বুঝতে পারবেন।
কীভাবে বুঝবেন যে কোভ্যাক্সিন আসল নাকি নকল?
১) কোভ্যাক্সিনের ভায়ালের উপর যে লেবেল থাকে, তাতে আল্ট্রা-ভায়োলেট হেলিক্স বা ডিএনএয়ের মতো কাঠামো থাকে। যা খালি চোখে দেখা যাবে। শুধুমাত্র বোঝা যাবে আল্ট্রা-ভায়োলেট আলোয়।
২) কোভ্যাক্সিনের ‘X’-এ গ্রিন ফয়েলের এফেক্ট থাকে।
৩) কোভ্যাক্সিনের উপর একটি হলোগ্রাফিক এফেক্ট।
৪) লেবেল একেবারে ক্ষুদ্র আদ্যক্ষর থাকবে। যাতে লেখা থাকবে কোভ্যাক্সিন।
স্পুটনিক ভি টিকার আসল নাকি নকল বুঝবেন কীভাবে?
১) যে দুটি জায়গায় রাশিয়ার করোনা টিকা উৎপাদিত হয়, সেগুলির জন্য পৃথক লেবেল আছে। উৎপাদকের নাম ছাড়া বাকি সমস্ত তথ্য এবং নকশা এক থাকে।
২) এখনও পর্যন্ত যে টিকাগুলি আমদানি করা হয়েছে, তার পাঁচটি অ্যাম্পুল প্যাকের কার্টনের সামনে এবং পিছন দিকে শুধুমাত্র ইংরেজির লেবেল থাকে। বাকি সর্বত্র রাশিয়ান লিপি থাকে।