ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিটে আয়কর আরোপ করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে আয়করের রিটার্ন সাবমিটের সময়ে করদাতারা এটি দেখানোর ক্ষেত্রে কিছু ত্রুটি করেন। তার ফলে নোটিশ পেতে হয়। তবে চিন্তা নেই। এর সুরাহা আলোচনা করা হবে এই প্রতিবেদনে।
ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিটের সুদ সম্পূর্ণভাবে করযোগ্য। তবে, সিনিয়র সিটিজেনরা ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত ছাড় পেতে পারেন- সেভিংস ও ফিক্সড ডিপোজিট-এর সুদে।
তবে সেক্ষেত্রে সিনিয়র সিটিজেনদের ইনকাম ট্যাক্স রিটার্নে এটি উল্লেখ করতে হবে। 'Income from other sources' হিসাবে এর উল্লেখ করতে হবে। Section 80TTB-এর অধীনে এই ডিডাকশানের দাবি করতে হবে।
সিনিয়র সিটিজেনদের মধ্যেও রয়েছে নিয়ম। ৮০-র উর্ধ্বে বয়সী যাঁদের বছরে আয় ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত, তাঁদের TDS দিতে হবে না।এর জন্য দুই ধরনের ফর্ম রয়েছে। ৬০-এর কম বয়সীদের জন্য ফর্ম 15G । আর ষাটোর্ধ্বদের জন্য ফর্ম 15H । অর্থবর্ষের শুরুতেই এই ফর্ম জমা দিতে হবে। FY22-এ TDS-এ করমুক্তি পেতে এখনই এই ফর্ম ব্যাঙ্কে জমা দিন।
আবার ডিপোজিটর চাইলে প্রতি বছরের সুদবাবদ আয়-ও দেখাতে পারেন আয়করের রিটার্নে।
আয়কর বিশেষজ্ঞদের মতে year of accrual হিসাবে প্রতি বছরের ফিক্সড ডিপোজিটের সুদ দেখাতে হবে। অর্থাত্ আপনি ধরুন ৫ বছরের ফিক্সড ডিপোজিট করেছেন। ম্যাচিওর হতে এখনও ২ বছর বাকি। কিন্তু চলতি বছরে সুদবাবদ যে টাকাটা জমছে, সেই হিসাবটা দেখাতে হবে। অর্থাত্ হাতে টাকা না পেলেও বার্ষিক সুদটা দেখাতে থাকতে হবে।
এতে ওভারঅল কম ইনকাম ব্র্যাকেটের মধ্যে থাকা যাবে লং টার্মে। তাছাড়া ব্যাঙ্ক প্রতি বছরই সুদে TDS কাটবে। এটি ফর্ম 26AS- দেখানো হবে।
এতে সুবিধাই বেশি। কারণ একেবারে ম্যাচিওর হওয়ার বছরে আয়কর ফাইল করলে সেটি বেশি আয়সীমার আওতায় পড়বে। ফলে করও বেশি দিতে হবে।