২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হল সরকারী পেনশনভোগীদের জন্য জীবন প্রমাণপত্র বা লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। এর আগে, এই প্রমাণপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ৩১ ডিসেম্বর ২০২১। উল্লেখ্য, যাতে প্রাপ্য পেনশন পাওয়ার ধারা বজায় থাকে, তার জন্য প্রতি বছর ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পেনশনভোগীদের নিজের জীবন প্রমাণপত্র জমা দিতে হয়। এই জীবনপত্র পেনশন এজেন্সিকে জমা করতে হয়, তবে এবছর তা জমা দেওয়ার মেয়াদ বাড়ানো হল। উল্লেখ্য, লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে ফেস রেকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ আনা হয়েছে। যা সহজে এই সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি বড় পদক্ষেপ।
উল্লেখ্য, লাইফ সার্টিফিকেট বা জীবনপত্র জমা দেওয়ার তারিখ প্রথমে ৩০ নভেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর করা হয়। পরে তা ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এদিকে, এবার এক নতুন উপায়ের মাধ্যমে এই লাইফ সার্টিফিকেট বা জীবনপত্র জমা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করেছে সরকার। দেশের কেন্দ্রীয় সরকারী ৬৮ লাখ পেনশনভোগী এই সুবিধা পেতে চলেছেন। ফেস রেকগনিশন প্রযুক্তির হাত ধরে এই নয়া সুবিধা দেওয়া হচ্ছে পেনশনভোগীদের। যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাঁরা মোবাইলের মাধ্যমেই সহজে লাইফ সার্টিফিকেট জমা করতে পারবেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংয়ের কথায়, ফেস রেকগনিশন জমা দেওয়া একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এতে কেবলমাত্র কেন্দ্রীয় কর্মচারীরাই সুবিধা পাবেন না, এর দ্বারা ইপিএফও এবং রাজ্যসরকারী কর্মীরাও সুবিধা পাবেন।
উল্লেখ্য, যাঁরা নিজেদের আঙুলের ছাপ বায়োমেট্রিক আইডি হিসেবে জমা করতে পারেন না, সেই সমস্ত পেনশনভোগীদের ক্ষেত্রে এই ফেস রেকগনিশন একটি বড় পদক্ষেপ। উল্লেখ্য, এই পদ্ধতিতে পেনশনভোগী বা পারিবারিক পেনশনভোগীরা নিজেদের পরিচিতি স্বীকৃত করতে পারবেন। ফেস আইডি ব্যবহারের জন্য পেনশনভোগীর কাছে থাকতে হবে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল, ইন্টারনেট কানেকশন। এছাড়াও থাকতে হবে পেনশন ডিসবার্সিং অথোরিটির পাস, আধার নম্বর এবং অন্তত ৫ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। https://jeevanpramaan.gov.in সাইটে গিয়ে ডাউনলোড করতে হবে ফেস অ্যাপ্লিকেশন। এরপর অথরাইজেশন, অথেন্টিকেশন ও মুখের স্ক্যান পর্যায় পার করতে হবে। এরপর যাবতীয় তথ্য দিয়ে রয়েছে আরও একটি স্ক্যানের পর্যায়। তারপর গোটা বিষয়টি সম্পূর্ণ করা যাবে।