বন্দে ভারতে এবার আসতে পারে বুলেট ট্রেনের টুইস্ট। মিন্টের রিপোর্ট অনুযায়ী, সরকারের শীর্ষ পদে থাকা দুই আধিকারিক জানিয়েছেন, বর্তমানের বন্দে ভারতকে দ্রুত হাই স্পিডের স্ট্যাটাসে পরিণত করার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভবিষ্যতে বুলেট ট্রেন করিডরে এই 'হাই স্পিড' বন্দে ভারত চালানো হতে পারে। জনা গিয়েছ, আইসিএফ এবং বিইএমএল একসঙ্গে মিলে একটি ট্রেনের নকশা তৈরি করছে, সেই ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি হবে ২৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। বর্তমানে বন্দে ভারতের ম্যাক্সিমাম স্পিড ১৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। (আরও পড়ুন: আমেরিকায় বিষ্ণোই গ্যাঙের হাতে খুন আন্তর্জাতিক মাদক পাচারকারী সুনীল যাদব!)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশিদের দিল্লিতে থাকার ব্যবস্থা করত... ব়্যাকেটের পর্দা ফাঁস, ধৃত ১১
এই নিয়ে এক আধিকারিক বলেন, 'এই নতুন ট্রেনগুলির এক একটি কামরা তৈরি করতে ২৮ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। অন্যান্য হাই স্পিড ট্রেনের সেট তৈরির খরচের তুলনায় এই নতুন ট্রেনগুলিতে ব্যয় খুব কম্পিটিটিভ। জাপানের বুলেট ট্রেনের থেকে ভারতের এই ট্রেন তৈরিতে খরচ আর্ধেক।' উল্লেখ্য, বর্তমানে ভারতের প্রথম হাই স্পিড রেল করিডর তৈরি হচ্ছে মুম্বই এবং আহমেদাবাদের মধ্যে। এছাড়াও দিল্লি-বারাণসী, দিল্লি-আহমেদাবাদ, নাগপুর-মুম্বই, মুম্বই-হায়দরাবাদের হাই স্পিড রেল করিডরের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল রেল বোর্ডকে। ২০২৩-২৪ সালে সেই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে চেন্নাই-মাইসোর এবং বারাণসী-হাওড়া হাই স্পিড রেল করিডরের প্রস্তাব জমা দেওয়া হতে পারে। (আরও পড়ুন: 'আবার পথে নামতে হবে...', এবার ইউনুসের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক BNP-র?)
আরও পড়ুন: ১ বছরে অবিশ্বাস্য ১০০০০% লাফ মাল্টিব্যাগার শেয়ারের দামে, তারপর…
জানা গিয়েছে, আট কামরার দু'টি ট্রেন তৈরি করবে বিইএমএল। আগামী দুই বছরে সেই ট্রেনগুলি তৈরি হয়ে যাওয়ার কথা। জানা যাচ্ছে, এই ট্রেনগুলি আহমেদাবাদ-মুম্বই বুলেট ট্র্যাকে ছুটতে পারবে। এই ট্রেনগুলির সর্বোচ্চ গতি হবে ঘণ্টায় ২৮০ কিমি। এই দু'টি ট্রেন তৈরির জন্যে যে চুক্তি হয়েছে তা হল ৮৬৭ কোটি টাকার। জানা গিয়েছে, চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরির তরফ থেকে এই উচ্চগতি সম্পন্ন ট্রেন তৈরির জন্যে টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। তার মধ্যে শুধুমাত্র ভারত আর্থ মুভার্স লিমিটেড দরপত্রের আবদেন জানিয়েছিল। (আরও পড়ুন: সকল ধর্মের মানুষের মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা, ইউনুসের কাছে ফোন হোয়াইট হাউসের)
আরও পড়ুন: আবারও বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গে, কবে থেকে ফের কলকাতায় ঠান্ডা পড়তে পারে?
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, ভারতেই বুলেট ট্রেন তৈরির পরিকল্পনা করছে সরকার। এবার সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পালা। আর বিদেশি সংস্থার বদলে দেশীয় সংস্থার হাতেই গেল সেই বুলেট ট্রেন তৈরির বরাত। ২০২৬ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে তৈরির কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। যদিও এর আগে বুলেট ট্রেনের ট্রায়াল রানের জন্যে ২০২৬ সালের অগস্ট-সেপ্টেম্বরের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এদিকে বিইএমএল জানিয়েছে, তাদের বেঙ্গালুরুর কোচ কমপ্লেক্সে এই ট্রেন তৈরি করা হবে। (আরও পড়ুন: পাক মহিলার গর্ভে ভারতীয় সন্তান, পঞ্চমবার মা হচ্ছেন 'PUBG প্রেমিকা' সীমা হায়দার)
আরও পড়ুন: 'মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে…', নাম না নিয়ে ভারতকে নিয়ে বড় মন্তব্য জামাত প্রধানের
জানা যাচ্ছে, প্রাথমিক ভাবে ভারতের মাটিতে ছুটতে চলা বুলেট ট্রেন আনার জন্যে জাপানি সংস্থার উপরেই ভরসা রেখেছিল রেলবোর্ড। কিন্তু শিঙ্কানসেন ই৫ সিরিজের সেই বুলেট ট্রেন কেনার চুক্তি সম্পন্ন হয়নি এখনও। এদিকে এই বুলেট ট্রেনের এক একটি কোচ তৈরির জন্যে ভারত আর্থ মুভার্স যত খরচ করবে, তার থেকে অনেক বেশি খরচ এক একটা শিঙ্কেনসেন কোচ তৈরিতে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ট্রেনের প্রতি বগি তৈরিতে খরচ হবে ২৭.৮৬ কোটি টাকা। আর এক এক শিঙ্কেনসেন কোচ তৈরিতে খরচ হয় ৪৬ কোটি টাকা। এদিকে এই শিঙ্কানসেন ট্রেনগুলি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩২০ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে ছুটতে পারে। তার থেকে ভারতীয় বুলেট ট্রেনের গতি অনেকটা কম হবে। তবে সারা বিশ্বে উচ্চগতির ট্রেনগুলির গড় গতি ঘণ্টা ২৫০ কিমি। সেই নিরিখে ভারতীয় বুলেট ট্রেনের গতি ঠিকঠাকই থাকবে।