লকডাউনে ছাত্রদের স্কুলে অনুপস্থিতির হার যথাসম্ভব কমাতে চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছে প্রশাসন। এই কারণে এগিয়ে আনা হতে পারে গ্রীষ্মের ছুটি।
সংক্রমণ বৃদ্ধির জেরে দেশজুড়ে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে উদ্যোগী প্রশাসন। স্টাডি মেটিরিয়াল জোগাতে নতুন ওয়েব পোর্টাল চালু করার পাশাপাশি স্কুল কর্তৃপক্ষকে অনলাইনে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে উৎসাহ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় মানবসমমম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক।
তবে অনলাইন শিক্ষণ পদ্ধতির কিছু সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে। এই ব্যবস্থায় শিক্ষক ও সহপাঠীদের সঙ্গে সশরীরে সাক্ষাৎ হচ্ছে না বলে অনুভব করছে ছাত্রছাত্রীরা। তা ছাড়া, পড়ুয়ার সামগ্রিক ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটে স্কুল পরিবেশেই।
হিন্দুস্তান টাইমস-এর সঙ্গে ফোনে আলোচনায় কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নের আধিকারিক জানিয়েছেন, এর জন্য স্কুলের গ্রীষ্মের ছুটি এগিয়ে আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে লকডাউনের মেয়াদ বাড়লেই।
মন্ত্রকের আর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, স্কুলের গ্রীষ্মকালীন ছুটির সময়সীমা নির্ধারণের বিষয়ে রাজ্য সরকারই সাধারণত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
অন্য দিকে, পড়ুয়াদের শিক্ষা সংক্রান্ত ক্ষতি ঠেকাতে উচ্চশিক্ষা স্তরে নীতি নির্ণায়ক সংস্থা ইউজিসি একাধিক উপাচার্যকে নিয়ে বিশেষজ্ঞ দল তৈরি করেছে। করোনা সংক্রণের কারণে আগামী শিক্ষা মরশুমে কী কী নীতি নির্ধারণ করা হবে, সে বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেবেন বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের অধীনস্থ জওহর নবোদয় বিদ্যালয়গুলিতে গ্রীষ্মের ছুটি এগিয়ে আনা হয়েছে। একই প্রস্তাব পেশ করেছে আইআইটি দিল্লিও। আশা করা যাচ্ছে, প্রস্তাবটি আইআইটি সেনেটের অনুমোদন পাবে।