করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের সঙ্গে লড়ছে দিল্লি। কীভাবে কেন্দ্র, রাজ্য ও বিভিন্ন এজেন্সি একযোগে কাজ করছে, লকডাউনের কেন দরকার ছিল, এই সব নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিটে এসে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মনে করিয়ে দিলেন আমেরিকার নিউ ইয়র্কের মতো করোনার তুঙ্গেও ধসে যায়নি ভারতের রাজধানীর স্বাস্থ্য পরিকাঠামো।
কেজরিওয়াল বলেন যে কেস পজিটিভিটি রেট গত কয়েক দিনে পাঁচ শতাংশ কমেছে যেটা অত্যন্ত ইতিবাচক। হালে কোভিড কেসের বৃদ্ধির নেপথ্যে দূষণের বড় হাত আছে বলে মনে করেন আপ নেতা। যেভাবে বিভিন্ন রাজ্যে ফসল পোড়ানো হচ্ছে তার জন্য ভুগতে হচ্ছে দিল্লিকে বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। কেজরিওয়াল বলেন যে দিল্লি দূষণ কমিয়েছে কিন্তু উত্তর ভারতের অন্য রাজ্য থেকে যে দূষণ ছড়াচ্ছে তাঁর ওপর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই তাদের। দূষণে
ইতিবাচক তথ্য হিসেবে আপ নেতা বলেন যে ১৫ শতাংশ থেকে দশ শতাংশ হয়ে গিয়েছে কেস পজিটিভিটি রেট। অর্থাৎ একশো জনকে টেস্ট করলে দশজনের কোভিড পজিটিভ আসছে।
কেজরিওয়াল বলেন যে এই পরিসংখ্যান থেকে তারা মনে করছেন যে হয়তো কোভিডের তৃতীয় ঢেউ পেরিয়ে গিয়েছে দিল্লি। তবে বিশ্বের অন্যান্য শহরের সঙ্গে তুলনা করে কেজরিওয়াল বলেন যে নয়াদিল্লির অবস্থা অনেক ভালো। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের সঙ্গে তুলনা টেনে বলেন যে ভারতের রাজধানীতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েনি। এমন কোনও দিন হয়নি যে হাসপাতালের করিডরে মানুষ শুয়ে আছেন কারণ তাদের জন্য বেডের বন্দোবস্ত করা যায়নি।
কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারা করোনাকালে আরোপিত লকডাউনকে সমর্থন করে কেজরিওয়াল বলেন যে ওটার প্রয়োজন ছিল স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে প্রস্তুত করার জন্য। লকডাউনের জন্য কেসের সংখ্যা কমেছে বলে মনে করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
দিল্লিতে এই মুহূর্তে অ্যাক্টিভ কেস ৪৩,২২১, সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪৫৯৩৬৮, কোভিড পজিটিভ অবস্থায় মারা গিয়েছেন ৮০৪১ জন।