কোভিড ভ্যাক্সিন নিয়ে ফাইজার ও তার সহযোগী সংস্থা বায়োএনটেক-এর সঙ্গে কথা চলছে ভারতেরবৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছেন এইমস অধিকর্তা রণদীপ গুলেরিয়া।
১৮তম হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিট (HTLS) ২০২০ সভায় ভারতে Covid-19 পরিস্থিতি ও তার প্রতিষেধক টিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে এই তথ্যগুলি জানিয়েছেন এইমস অধিকর্তা।
তিনি জানিয়েছেন, ‘আমাদের সামনে এখন দুটি প্রধান চ্যালেঞ্জ। প্রথমত, সংক্রমণ শৃঙখ্ল ভাঙা এবং দ্বিতীয়ত সবার জন্য প্রতিষেধক টিকার ব্যবস্থা করা।’
সম্প্রতি মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা ফাইজার ইনকর্পোরেটিভ ও তার সহযোগী সংস্থা জার্মান বায়োএনটেক ইনকর্পোরেটিভ জানিয়েছে, তাদের তৈরি করোনাভাইরাস ভ্যাক্সিন সাম্প্রতিক ট্রায়ালে ৯৫% কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। এমনকি ৬৫ বছরের বেশি বয়েসিদের ক্ষেত্রেও প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে সফল হয়েছে এই টিকা। ট্রায়ালে কোভিড সংক্রমিত ১৭০ জনের মধ্যে মাত্র ৮ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছিল। সংকটজনক অবস্থায় থাকা কোভিড রোগীদের ১০ জনের মধ্যে ৯ জনকেই এই টিকা দেওয়া হয়। দেখা গিয়েছে, ১৮ থেকে ৬৫ বছর বয়েসি রোগীদের ক্ষেত্রে ধারাবাহিক ফল পাওয়া গিয়েছে। ফাইজার ও বায়োএনটেক-এর তরফে আরও জানানো হয়েছে যে, তাদের আরএনএ-ভিত্তিক কোভিড ভ্যাক্সিন BNT162b2 প্রাথমিক শর্তাবলী মেনে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল সম্পূর্ণ করতে সক্ষম হয়েছে।
অন্য দিকে, মডার্না ইনকর্পোরেটিভ-এর তরফে জানানো হয়েছে, তাদের তৈরি পরীক্ষামূলক ভ্যাক্সিন সংক্রমণ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে ৯৪.৫% সফল প্রমাণিত হয়েছে।
এ দিনের সভায় এইমস অধিকর্তার সঙ্গে আলোচনায় যোগ দেন ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ স্কুল অফ পাবলিক হেল্থ-এর ডিন আশিস কুমার ঝা। তিনি জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে দুটি কোভিড ভ্যাক্সিন ট্রায়ালের অগ্রগতির খবরে তিনি ‘উত্তেজিত, আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত’ বোধ করছেন। বিশেষ করে ফাইজারের তৈরি ভ্যাক্সিন ৯৫% সফল প্রমাণিত হওয়ায় তিনি বিশেষ সন্তোষ প্রকাশ করেনব।
একই সহ্গে গুলেরিয়া জানান, সকলের জন্য কোভিড টিকা প্রাপ্তির সম্ভাবনা নির্ভর করছে অনুমোদিত ভ্যাক্সিনের সংখ্যার উপরে এবং তাদের উৎপাদিত ডোজের পরিমাণের উপরে। তবে তাঁর আশ্বাস, সব কিছু ঠিকঠাক চললে খুব তাড়াতাড়ি ৩০% থেকে ৪০% ভারতীয়কে এই টিকা দেওয়া সম্ভব হবে।