‘মেধাকে আমরা কীভাবে ব্যাখ্যা করব?’ হিন্দুস্তান টাইমসের লিডারশিপ সামিটে এসে এই প্রশ্ন তুলে তার ব্যাখ্যা দিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। ২০২২ হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিট-এ যোগ দিয়ে মহিলা বিচারপতিতে বিচার ব্যবস্থায় অন্তর্ভূক্ত করার ইস্যু নিয়েও মন্তব্য করেন তিনি।
ডিওয়াই চন্দ্রচূড় প্রশ্ন তুলে ব্যখ্যা করেন, ‘কেন মহিলা বিচারপতি প্রয়োজন আমাদের?’ তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে মেধার জন্ম প্রসঙ্গ, লিঙ্গ বৈচিত্রতা নিয়ে আমাদের ভাবনার প্রসঙ্গ। এই প্রসঙ্গক্রমেই তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের এমন বহু কোর্ট রয়েছে যেখানে মহিলাদের শৌচালয় পর্যন্ত নেই। এমন কঠিন বাস্তবের মধ্য দিয়েই আমাদের বিচারপতিরা কাজ করে চলেছেন।’ তিনি প্রসঙ্গ তোলেন যে দেশের বিচারব্যবস্থার পরিকাঠামো নিয়েও। মহিলা আইনজীবীদের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে মহিলা আইনজীবীরা অনেক বেশি কাজ করতে সক্ষম হচ্ছেন। প্রধান বিচারপতি বলছেন, ‘যখন অতিমারীর সময় ভিডিয়ো কন্ফারেন্সিং শুরু হয়েছিল, তখন বহু মহিলা আইনজীবী তাতে অংশ নিয়েছেন।’ বক্তব্যের মধ্যে তিনি তুলে ধরেন, ‘ভারত জুড়ে, আইন সম্পর্কিত পেশার কাঠামো সামন্ততান্ত্রিক। মহিলাদের জন্য গণতান্ত্রিক ও যোগ্যতাভিত্তিক প্রবেশের প্রয়োজন রয়েছে।’
এদিনের বক্তব্যে ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, এই মুহূর্তে যে সমস্ত ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছেন, তার মধ্যে অন্যতম হল সোশ্যাল মিডিয়া। তিনি বলেন, ‘প্রথম চ্যালেঞ্জ, যার মুখে আমরা পড়ি তা হল, আশা’। বিচারব্যবস্থা থেকে মানুষের আশা বিচারপতিদের কাছে কতটা বড় চ্যালেঞ্জ কোনও একটি মামলার রায়ের ক্ষেত্রে,তা এদিন সামিটে ব্যখ্যা করেন প্রধান বিচারপতি।