ভারতে একটা অবিশ্বাসের সংস্কৃতি আছে। সেজন্য আধিকারিকরা প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। ‘হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিট ২০২২’-এ সেই মন্তব্য করলেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তাঁর মতে, আদালতে যে এত মামলা ঝুলে আছে, সেটার অন্যতম কারণ হল সেই অবিশ্বাসের সংস্কৃতি।
শনিবার ‘হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিট ২০২২’-এ (Hindustan Times Leadership Summit 2022) সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সিদ্ধান্তহীনতার সংস্কৃতিকে লালন-পালন করেছি আমরা। একটি অবিশ্বাসের সংস্কৃতি আছে। যে কারণে আমাদের আধিকারিকরা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। যা আদালতে এত মামলা ঝুলে থাকার অন্যতম কারণ।’
আরও পড়ুন: HTLS 2022: 'বিচারব্যবস্থার ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ', মন্তব্য CJI-
ভারতের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানান, প্রবল প্রত্যাশার চাপ সামলাতে হয় শীর্ষ আদালতকে। কারণ প্রত্যেকেই মনে করেন যে তাঁরা ব্যক্তিগত স্বাধীনতা সুরক্ষিত থাকবে সুপ্রিম কোর্টে। তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে বিচার পাবেন।ভারতের প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা সবথেকে যে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হই, সেটা হল প্রত্যাশার চ্যালেঞ্জ। প্রায় প্রতিটি মামলা, প্রতিটি সামাজিক বিষয়, প্রতিটি আইনি বিষয়, প্রতিটি রাজনৈতিক বিষয় সুপ্রিম কোর্টের বিচার ক্ষমতার এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে।’
আরও পড়ুন: HTLS 2022: ‘যে কেউ স্বাধীনতা রক্ষার…’, সুপ্রিম কোর্টে এত মামলা গ্রহণের কারণ ব্যাখ্যা CJI-র
‘হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিট ২০২২’-এ কী বলেছেন ভারতের প্রধান বিচারপতি?
- ভারতের প্রধান বিচারপতি: ডোরিস ডে এবং ফ্র্যাঙ্ক সিন্তারার লিরিক্স ধার করে বলতে পারি, 'আমরা (বিচারপতিরা) হৃদয়ের দিক থেকে অত্যন্ত তরুণ।
- ভারতের প্রধান বিচারপতি: কোনও মামলার শুনানির সময় একজন বিচারপতি যে যে কথা বলছেন, সেটা চূড়ান্ত রায় নয়। কোনও মামলার শুনানির সময় বাধাহীন সওয়াল-জবাব হন। (কিন্তু) কোনও বিচারপতির কোনও মন্তব্যের ভিত্তিতে রিয়েলটাইম রিপোর্টিং হয়।