ভারতীয় অর্থনীতিতে কোভিড কতটা প্রভাব ফেলেছে? কী পরিস্থিতি রয়েছে ভারতীয় অর্থনীতির? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিলেন আরবিআইয়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিট-এর অন্যতম সেশনে আজ আলাপচারিতায় ছিলেন শক্তিকান্ত দাস। তাঁর থেকেই উঠে এল দেশের আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে নানান অবস্থার কথা।
ভারতের আর্থিক পরিস্থিতি আপাতত ‘স্থিতিস্থাপক’। এভাবেই কোভিড পরবর্তী সময়ে ভারতের আর্থিক অবস্থাকে বর্ণনা করেছেন শক্তিকান্ত দাস। তিনি বলছেন, দেশের আর্থিক বৃদ্ধি আগামীতে আরও বাড়বে বলে তাঁরা আশা। তিনি এও বলেছেন, ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি ৭ শতাংশ পর্যন্ত যাবে বলে মনে করছেন তিনি। কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারতের অর্থনীতিতে এই মুহূর্তে বড় চ্যালেঞ্জ হল মুদ্রাস্ফীতি। আর সেই ইস্যুতে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করছি, অক্টোবরের মুদ্রাস্ফীতি ৭ শতাংশের নিচে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।' ফলে সেই জায়গা থেকে ভারতীয় অর্থনীতিতে অক্টোবরের মুদ্রাস্ফীতি ইস্যু বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি এদিন প্রসঙ্গ তোলেন ‘মনিটারি পলিসি’ ইস্যুতেও। দেশে মুদ্রানীতির ব্যর্থতা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘যদি পর পর তিনটি কোয়ার্টারে মুদ্রাস্ফীতি ৬ শতাংশ থাকে, তাহলে তাকে ধরে নেওয়া হবে মুদ্রানীতির ব্যর্থতা হিসাবে।’
মুদ্রাস্ফীতি ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে শক্তিকান্ত দাস বলেন, ‘ মুদ্রাস্ফীতিকে ৪ শতাংশে রাখার নেপথ্যে রয়েছে কারণ।’ এই কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, আরবিআইয়ের একটি বিস্তারিত ব্যাখ্যা রয়েছে এই মুদ্রাস্ফীতির সংখ্যার বিষয়ে। তিনি বলছেন, সেই কমিটিই প্রাইস ব্যান্ড +2 করার পক্ষে সওয়াল করেছে।