নিউ দিল্লি স্টেশনে অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। অন্তত ১৮জনের মৃত্যু পদপিষ্ট হয়ে। ঠিক কী হয়েছিল শনিবার? প্রত্যক্ষদর্শীরা কিছুতেই ভুলতে পারছেন না সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা। চোখের সামনে একেবারে হাড়হিম করা দৃশ্য়।
স্টেশনেরই এক কুলি সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, এত বছর ধরে কুলির কাজ করছি। এমন ভিড় জন্মে দেখিনি। ১২ নম্বরে থাকা যাত্রীরা ১৬ নম্বরে আসছিলেন। আর যারা ১৬ নম্বরে ছিলেন তারা সরে যাচ্ছিলেন। সেই সময় ঠেলাঠেলি। কুলিরা ছুটে আসেন। আমি নিজেও মৃতদেহ বের করেছি। অন্তত ১৫টি দেহ তুলে এনেছি। বাকি আর বলতে পারব না। খালি জুতো, কাপড় পরেছিল। নীচে পড়ে গিয়েছিলেন অনেকে।
ভয়াবহ অভিজ্ঞতার প্রত্যক্ষদর্শীদের।
এক ব্যক্তি বলেন, ঘটনার সময় প্রশাসনের কাউকে দেখতে পাইনি। আর ঘটনার পরে ওরা এলেন। প্রশাসন এখানে এল এক ঘণ্টা পরে। প্রচন্ড ভিড়।
অপর এক ব্যবসায়ী বলেন, ৯টা সাড়ে ৯ বাজে তখন। ওভারব্রিজেও অনেক লোক ছিল। প্লাটফর্ম বদলের কোনও ঘটনা ছিল না। কিন্তু ভিড় এত ছিল যে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায় নি।
অপর এক প্রত্যক্ষদর্শী এএনআইকে জানিয়েছেন, প্লাটফর্ম বদলের কোনও ব্যাপার ছিল না। ২৬ বছর ধরে এখানে রয়েছি। এমন পাবলিক জীবনে দেখিনি। ছট পুজোতেও এত মানুষ আসেন না। জানি না এত মানুষ কোথা থেকে আসলেন। পাবলিকের কোনও কম নেই। স্পেশাল গাড়ি চলছে। তবুও লোক যেন কমছে না।
একেবারে ভয়াবহ ঘটনা। মাত্রাতিরিক্ত ভিড়। আর সেই ভিড়ের চাপে সব শেষ।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর পোস্ট করা একটি ভিডিয়োতে উত্তর রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক হিমাংশু শেখর বলেন, 'যখন এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে, তখন পাটনাগামী মগধ এক্সপ্রেস দাঁড়িয়ে ছিল নয়াদিল্লি স্টেশনের ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে। এবং জম্মুগামী উত্তর সম্পর্কক্রান্তি এক্সপ্রেস ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ছিল। সেই সময় প্ল্যাটফর্ম ১৪ ও ১৫-তে নামতে গিয়ে সিঁড়িতে একজন যাত্রী পা পিছলে পড়ে যান এবং কয়েকজন আঘাত পান এবং তার থেকেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। গোটা ঘটনা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি তদন্ত করছে।'
এক প্রত্যক্ষদর্শী সংবাদমাধ্য়মে জানিয়েছেন, একের পর এক লোকজন আমার স্ত্রী ও কন্য়ার উপর পড়ে গেল। আমার ছেলেকে খুঁজে পাচ্ছি না। আমার স্ত্রী ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। কী করব কিছু বুঝতে পারছি না।