বুধবার দিল্লি হাইকোর্টের এক বিচারপতির বাড়ির বাংলোয় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছিল। আর সেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘিরে এখন চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উচ্চ আদালতের করিডরে। জানা গিয়েছে, সেই বিচারপতির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা। এই ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামও দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে। ওই বিচারপতিকে অন্য হাইকোর্টে বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সময় বিচারপতি যশবন্ত বর্মা শহরে উপস্থিত ছিলেন না এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা দমকল বিভাগ এবং পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা একটি ঘরে বিপুল পরিমাণ টাকা দেখতে পান। (আরও পড়ুন: হামাস যোগে ধৃত ভারতীয় গবেষককে দেশছাড়া করতে পারবেন না ট্রাম্প, নির্দেশ মার্কিন আদালতের)
আরও পড়ুন: জাতীয় সঙ্গীতের 'অপমান' করার অভিযোগ নীতীশের বিরুদ্ধে, সামনে এল ভিডিয়ো, তোপ RJD-র
এদিকে স্থানীয় পুলিশ বিষয়টি তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানায়। বাজেয়াপ্ত করা হয় সেই নগদ উর্থ। এই তথ্য শীঘ্রই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার কাছে পৌঁছে যায়। জাস্টিস খান্না বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখেন এবং তৎক্ষণাৎ কলেজিয়ামের একটি সভা ডেকেছিলেন। কলেজিয়াম সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেয় যে বিচারপতি বর্মাকে অবিলম্বে বদলি করা হোক। তাঁকে এলাহাবাদ হাইকোর্টে বদলি করা হয়েছে। এর আগে ২০২১ সালের অক্টোবরে এলাহাবাদ হাইকোর্ট থেকে দিল্লি হাইকোর্টে বদলি হয়েছিলেন বিচারপতি বর্মা। (আরও পড়ুন: ইউনুসের বক্তব্যে না-খুশ, রাত ২টোয় উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ফিরল অগস্টের স্মৃতি)
আরও পড়ুন: আওয়ামি লিগ ‘আবার ফিরছে’, ঢাকায় বসেই হাসিনার দল নিয়ে বড় কথা খোদ ইউনুসের
রিপোর্টে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, কলেজিয়ামের কিছু সদস্য এই গুরুতর ঘটনাকে কেবলমাত্র বদলির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার পক্ষে ছিলেন না। কলেজিয়ামের বৈঠকে নাকি বলা হয়েছিল, বিষয়টি শুধু বদলির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে এবং প্রতিষ্ঠানের ওপর আস্থাও কমে যাবে। এই আবহে বিচারপতি বর্মাকে পদত্যাগ করতে বলার প্রস্তাব পেশ করা হয়েছিল। আরও বলা হয়, যদি জাস্টিস বর্মা পদত্যাগে অস্বীকার করেন তবে এই বিষয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করা উচিত প্রধান বিচারপতির। (আরও পড়ুন: ISI কর্তাদের পরে বাংলাদেশ যাবেন পাক বিদেশমন্ত্রী, আলোচনা হবে প্রতিরক্ষা নিয়ে)
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া অভ্যন্তরীণ তদন্ত পদ্ধতি অনুযায়ী, কোনও বিচারপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অসদাচরণ বা শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ উঠলে প্রধান বিচারপতি প্রথমে বিচারপতির জবাব তলব করবেন। যদি প্রধান বিচারপতি সন্তোষজনক উত্তর না পান, তাহলে তিনি একটি তদন্ত প্যানেল গঠন করতে পারেন। যাতে সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতি এবং হাইকোর্টের দু'জন প্রধান বিচারপতি থাকবেন।