আজ ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহের ষষ্ঠ দিন। রোজ ডে, প্রপোস ডে, টেডি ডে, প্রমিস ডে পেরিয়ে এসে এবার নিজের ভালোবাসা ও অনুভূতিকে আরও শক্ত করার দিন। আজ হাগ ডে। একে অপরের সঙ্গে আলিঙ্গনাবদ্ধ হয়ে পরস্পরকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত করার পথ চলা শুরু আজ থেকে। ভালোবাসা ও যত্নের উষ্ণ এবং শুদ্ধ ইঙ্গিত বহন করে আলিঙ্গন। দুটি মানুষ যখন আলিঙ্গনাবদ্ধ হয়, তখন মস্তিষ্ক থেকে অক্সিটসিন নিঃসৃত হয়। এই অক্সিটসিন আনন্দ বা ভালোবাসার হরমোন নামেও পরিচিত। তাই ভালোবাসার অনুভূতি মজবুত করার পাশাপাশি আলিঙ্গনাবদ্ধ হওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষেও উপকারী।
গবেষকদের মত, আলিঙ্গন একটি আনন্দদায়ক অনুভূতি এবং এর ফলে শরীর চাপমুক্ত হয়। শুধু তাই নয়, রক্তচাপ কম করতে ও হৃদয়কে সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে। এখানে জানুন, আলিঙ্গনের সুফল—
১. গবেষণায় প্রকাশ যে, পুরুষ, মহিলা নির্বিশেষে সকলেই আলিঙ্গনের ফলে সমান ভাবে উপকৃত হন। বিশেষত, বিবাদের সময় এর কার্যকারিতা বহুগুণ বেড়ে যায়। গবেষকরা জানিয়েছেন, ঝগড়া বা বিবাদের পর আলিঙ্গনাবদ্ধ হলে ব্যক্তি ভারমুক্ত হয় ও মনের ওপরও এর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।
২. ব্যক্তি যখন, কাউকে আলিঙ্গন করে, স্পর্শ করে বা কারও পাশে বসে, তখন অক্সিটসিন নিঃসৃত হয়। বিজ্ঞানীরা একে ‘কাডল (cuddle) হরমোন’ বলে থাকেন। এই হরমোন উদ্বেগ কমাতে ও স্বস্তি দিতে সাহায্য করে। এর ফলস্বরূপ ব্যক্তির উচ্চ রক্তচাপ প্রভাবিত হয় ও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৩. গবেষণায় জানা গিয়েছে, ২০ সেকেন্ডের আলিঙ্গনের পর ১০ মিনিট পরস্পরের হাত ধরে থাকলে উচ্চরক্তচাপ স্তর ও হার্ট রেটে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। তবে ১০ মিনিট ও ২০ সেকেন্ড চুপ করে বসে থাকা সঙ্গীরা খুব একটা লাভবান হন না।
৪. কোনও কোনও ক্ষেত্রে আলিঙ্গন করলে ব্যাথার হাত থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ফাইব্রোমায়ালজিয়া সিন্ড্রোমের শিকার ব্যক্তিরা আলিঙ্গনের সুফল পেয়েছেন। এর ফলে শুধুমাত্র তাঁদের ব্যাথা হ্রাস পেয়েছে, তাই নয়, জীবনযাপনের মানও উন্নত হয়েছে। ষষ্ঠ থেরাপিউটিক টাচ ট্রিটমেন্টের পর থেকে তাঁরা সুফল পেতে শুরু করেন।
৫. উদ্বেগ ও ভয় কম করতে এটি কার্যকরী। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে এমন ব্যক্তি যদি টেডি বিয়ারের মতো কোনও নির্জীব বস্তুকেও আলিঙ্গন করে, তা হলে তাঁদের ভীতি অনেকাংশ কম হয়। অন্যের সঙ্গে একাত্ম হওয়ার ফলে অস্তিত্ব সংক্রান্ত উদ্বেগের সঙ্গেও তাঁরা মোকাবিলা করতে পারেন।