ফুটন্ত গরমে উড়ন্ত বাঁদর। সারাদিন বাঁদরামি করার পর গরম লাগাটাই স্বাভাবিক। তবে চিন্তা নেই। বাঁদরকূলকে 'কুল' করারও ব্যবস্থা রয়েছে। তাঁদের জন্য রয়েছে ফ্রিজে জমিয়ে ঠান্ডা করা ফলের ব্যবস্থা। ঠান্ডা ঠান্ডা ফল খাওয়াই গরম কাটানোর ফান্ডা।
কোন চিড়িয়াখানার ব্যবস্থা?
রোমের বায়োপারকো ডি রোমা চিড়িয়াখানায় এই বিশেষ আয়োজন। অবশ্য সেই চিড়িয়াখানাতেই যে প্রথম এমনটা করা হল, তা কিন্তু নয়। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন চিড়িয়াখানাতেই গরমে সেখানকার প্রাণীদের জন্য এমন ব্যবস্থা করা হয়।
নিরামিষাশীদের জন্য থাকে ফলের রসের আইসক্রিম, জমানো ফলের কুচি। অন্যদিকে নন-ভেজ পদে থাকে বালতি করে ফ্রিজে জমানো মাছ, মাংস।
তাহলে রোমের চিড়িয়াখানা নিয়ে আলোচনার কারণ?
নিউজ এজেন্সি ANSA-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে রোম, নেপলস, পালেরমো এবং অন্যান্য ২৪টি ইতালীয় শহরে তাপপ্রবাহ চলছে। রেড অ্যালার্ট জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
রোমে, মঙ্গলবার পারদ ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। আগামী সপ্তাহগুলিতেও তাপমাত্রা বেশি থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন যে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপপ্রবাহ স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি স্তরে থাকছে।
ভারতীয় চিড়িয়াখানাতেও তাপপ্রবাহে ছিল 'আইসক্রিমে'র আয়োজন
ভারতের বেশ কয়েকটি চিড়িয়াখানায় তাপপ্রবাহ মোকাবেলায় অনুরূপ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
দিল্লিতে, মে মাসে চিড়িয়াখানার বিভিন্ন এনক্লোজারে স্প্রিংকলার, বরফের স্ল্যাব এবং কুলার বসানো হয়েছিল।
এ বিষয়ে দিল্লি চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর ধর্মেন্দ্র রাই জানান, 'প্রতিটা এনক্লোজারে যাতে যথেষ্ট পরিমাণে ছায়া থাকে, তাতে নজর দেওয়া হচ্ছে। এমনিতে প্রায় সব এনক্লোজারেই বড় বড় গাছ রয়েছে। যদি কোনও স্থান ফাঁকা থাকে, সেখানেও ছাউনি টাঙানো হয়েছে। পশুপ্রাণীদের স্নান করার জন্য পুকুর রয়েছে। সেই সঙ্গে মাটি ভিজে রাখতে স্প্রিঙ্কলার বসানো হয়েছে।'
পঞ্জাবের লুধিয়ানার চিড়িয়াখানাতেও হয়েছে এমন আয়োজন। সেখানে গরম থেকে বাঁচতে খাঁচার সামনে রাখা কুলারের হাওয়া খাচ্ছেন বাঘমামারা।