মহারাষ্ট্রের সঙ্গে কর্নাটকের সীমানা সংঘাত নতুন মাত্রা নিল। সোমবারই উভয় রাজ্যের সীমান্তে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন বহু মানুষ। তার পরের দিনই মঙ্গলবার ২০০ থেকে ৩০০ বিক্ষোভকারী মহারাষ্ট্র থেকে কর্নাটকে প্রবেশের চেষ্টা করল। যদিও কর্নাটকে প্রবেশের আগেই তাদের আটকে দেয় পুলিশ। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
কর্ণাটকের আইন ও শৃঙ্খলার অতিরিক্ত ডেপুটি জেনারেল অলোক কুমার বলেন, ‘মহারাষ্ট্র থেকে প্রায় ২০০-৩০০ বিক্ষোভকারী কর্ণাটকে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। বর্তমানে সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি।’উভয় রাজ্যের বিধানসভায় শীতকালীন অধিবেশন শুরু হওয়ার পরেই সোমবার কর্ণাটক-মহারাষ্ট্র সীমানার কাছে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল হয়। তাতে অংশগ্রহণ করে শারদ পাওয়ারের জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) এবং মহারাষ্ট্র একীকরণ সমিতির (এমইএস) সদস্যরা।
এর আগেও তারা সীমান্ত এলাকার কাছে কর্ণাটকের বেলগাভিতে বিক্ষোভ করার জন্য পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু পুলিশ তাদের অনুমতি দেয়নি। পরে তারা কাগনোলি টোল প্লাজায় বিক্ষোভ দেখান। ৬০ টিরও বেশি সংগঠন বেলগাভিতে তিলকওয়াড়ির ভ্যাকসিন ডিপোয় বিক্ষোভ করার জন্য পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এনিয়ে রবিবারই শিবসেনা সদস্য সঞ্জয় রাউত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেন যুদ্ধের ইস্যুতে মধ্যস্থতা করতে পারেন অথচ কর্ণাটক ও মহারাষ্ট্র ইস্যুতে নীরব রয়েছেন।
উল্লেখ্য, ১৯৫৭ সালে সীমানা পুনর্বিন্যাসের সময় থেকেই কর্নাটক-মহারাষ্ট্রের মধ্যে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। অভিযোগ, অধিকাংশ মারাঠি ভাষাভাষীর মানুষের বসবাস সত্ত্বেও সীমানাবর্তী বেলগাভি জেলার কিছু অংশ কর্নাটককে দেওয়া হয়েছিল। এর প্রতিবাদে প্রতিবছরের মতো এবারও মহারাষ্ট্র একত্রীকরণ সমিতির পক্ষ থেকে বেলগাভির তিলকওয়াড়ির ভ্যাকসিন ডিপো গ্রাউন্ডে একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়েছিল।