হায়দার নকভি
উত্তরপ্রদেশের হামিরপুরে একেবারে হাড়হিম করা ঘটনা। রাগের মাথায় এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। তার শ্বশুরকেও তিনি হত্যা করেন বলে অভিযোগ। এরপর দেশীয় বন্দুক দিয়ে ওই যুবক নিজেকে শেষ করে দিয়েছে বলে খবর।
এসপি হামিরপুর দীক্ষা শর্মা জানিয়েছেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্য়ে বনিবনা ছিল না। ওই মহিলা তিন সন্তানকে নিয়ে অন্যত্র বাস করতেন। দুমাস ধরে তারা আলাদা থাকতেন। তার মধ্য়েই এই ঘটনা। মৃতদের নাম অনুসূয়া(৩৯), তার বাবা নন্দলাল(৬০)। স্বামী ওম প্রকাশ রাজপুতেরও মৃত্যু হয়েছে। তার বয়স ৪০ বছর।
ওই দম্পতির বড় মেয়ে জানিয়েছে গত ৮ অক্টোবর বাবার বিরুদ্ধে মা থানায় অভিযোগ জানিয়েছিল। স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনেছিলেন। এরপর থেকে বাবা আরও রেগে ছিল। ইদানিং তিন সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকতেন ওই মহিলা।
ওই রাতে ২.৩০ নাগাদ নির্মীয়মান বাড়িতে ঢুকেছিল প্রকাশ। হামলা চালায় স্ত্রীর উপর। এরপর তাকে আগুনে জ্বালিয়ে দেয়। নন্দলাল আগুনে নেভানোর চেষ্টা করেছিলেন তাকেও পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করে প্রকাশ। এরপর দুটি বাচ্চাকেও শ্বাসরোধ করে খুন করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু বড় বাচ্চাটি কোনওরকমে তাদের বাঁচিয়ে দেয়। পরে সে পুলিশে খবর দেয়।
এদিকে ঘটনার সময় ওম প্রকাশের এক বন্ধু মহিলাকে ও বাচ্চাদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন। ওই বন্ধুটি বলেন, ভয়াবহ ঘটনা। ও রাগে একেবারে পাগল হয়ে গিয়েছিল। আমি অনুসূয়াকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু পারিনি। আমি ভয়ে পালিয়ে যাই। আসলে ওই রাতে বন্ধুকে নিয়ে গিয়ে মিটমাট করার জন্য গিয়েছিলেন ওম প্রকাশ। কিন্তু গভীর রাতেই এই কাণ্ড!