সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, জন সুরজ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত কিশোর সোমবার বলেছেন যে তিনি জেলে গিয়েছিলেন এবং জামিনের আদেশে স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করেছিলেন কারণ তিনি কোনও অপরাধমূলক কার্যকলাপে অংশ নেননি এবং নথিতে তাকে কোনও অন্যায় কাজে অংশ না নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে হয়েছিল।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (বিপিএসসি) প্রাথমিক পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশন চলাকালীন সোমবার সকালে অন্যান্য সমর্থকদের সাথে প্রশান্ত কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
প্রশান্ত কিশোর বলেন, 'আমাকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং আমাকে জামিন দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু আদেশে লেখা আছে যে আমি যেন কোনও অন্যায় না করি, তাই আমি এই জামিনের আদেশ প্রত্যাখ্যান করেছি, আমি জেলে যেতে রাজি হয়েছি।
বিহার পুলিশের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, 'ভোর ৫টা থেকে ১১টা পর্যন্ত আমাকে পুলিশের গাড়িতে বসিয়ে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। একাধিকবার জিজ্ঞাসা করলেও আমাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা কেউ বলেনি।
প্রশান্ত কিশোর বলেছিলেন যে তিনি কোনও অপরাধমূলক কার্যকলাপ পরিচালনা করেননি বলে তিনি মেডিকেল টেস্টের জন্য সম্মতি দিতেও অস্বীকার করেছিলেন। জন সুরজের প্রধানের দাবি, পুলিশ চিকিৎসকদের মেডিক্যাল টেস্ট করানোর জন্য বোঝানোর চেষ্টা করলেও চিকিৎসকরা বেআইনি সার্টিফিকেট দেবেন না।
প্রশান্ত কিশোরের আইনজীবী ওয়াই ভি গিরি দাবি করেছেন, গ্রেফতারির সময় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের শারীরিকভাবে তুলে নেয়, ধাক্কা দেয়, ঘুষি মারে এবং নেতাকে চড় মারে।
জন সুরজের পার্টি এক্স-এ একটি পোস্টে বলেছে, 'পুলিশ প্রশাসন প্রশান্ত কিশোরকে গান্ধী ময়দান থেকে এইমসে নিয়ে গিয়ে তাঁর অনশন ভাঙার চেষ্টা করেছিল। অনশন ভাঙতে না পেরে প্রশান্ত কিশোরকে নতুন জায়গায় নিয়ে যেতে চাইছে প্রশাসন। এইমসের বাইরে প্রশান্ত কিশোরকে দেখতে জড়ো হওয়া জনতাকে পুলিশ নির্মমভাবে লাঠিচার্জ করে।
হিন্দুস্তান টাইমসের এক সংবাদদাতাকে আধিকারিকরা জানিয়েছেন, প্রশান্ত কিশোর গর্দানি বাগ থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ উপেক্ষা করেছেন এবং একাধিকবার মনে করিয়ে দেওয়া সত্ত্বেও তিনি প্রতিবাদে বসে রয়েছেন।
প্রশান্ত কিশোর আরও ঘোষণা করেছিলেন যে তাঁর দল বিপিএসসি পরীক্ষায় অনিয়ম দূর করার জন্য ৭ জানুয়ারি হাইকোর্টে আবেদন করবে।
এবার প্রশান্ত কিশোরের জন সুরয পার্টি কোন পদক্ষেপ নেয় সেদিকে তাকিয়ে আছেন অনেকে।