রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় বৃহস্পতিবার অভিযোগ করেছেন যে তিনি বিরোধীদের সমর্থন পাচ্ছেন না এবং ভারাক্রান্ত হৃদয়ে সভা ছাড়ার ঘোষণা করার আগে তিনি মনে করেন যে তিনি এই পদের অযোগ্য।
অলিম্পিকে কুস্তিগীর ভিনেশ ফোগাটের অযোগ্যতা নিয়ে আলোচনার দাবি জানানোর পর কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে তোলপাড় শুরু হওয়ার পর ধনখড় বলেন, শপথ থেকে সরে না এলেও তাঁকে কিছু সময়ের জন্য সরে যেতে হবে।
সভার কার্যক্রম শুরু হতেই তৃণমূল নেতারা অযোগ্যতা নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে তারা নোটিশ দিয়েছেন। ধনখড় সদস্যদের কথা বলার অনুমতি দেননি এবং নোটিশের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করেননি, যা বিরোধীদের পক্ষ থেকে প্রতিবাদের সূত্রপাত করেছিল।
বিরোধী নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছেন, এই বিষয়টি নিয়ে সভার আলোচনা করা উচিত এবং অযোগ্যতার পিছনে ‘কে রয়েছে’ তা জানা উচিত।
তৃণমূলের ডেরেক ও'ব্রায়েন ধনখড়কে অনুরোধ করেন, সদস্যদের কথা বলার সুযোগ দেওয়া হোক। তিনি নোটিশের বিষয়ে আলোচনার দাবি জানাতে উঠেছিলেন কিন্তু ধনখড় তার কণ্ঠস্বর উত্থাপন এবং অশালীন হওয়ার জন্য তাকে তিরস্কার করেছিলেন।
‘আপনি চেয়ারে বসে চিৎকার করছেন। আপনার আচরণ সংসদে সবচেয়ে কুৎসিতম। আমি আপনাদের কৃতকর্মের নিন্দা জানাই। পরের বার আমি আপনাকে দরজা দেখিয়ে দেব,’ বিরোধীদের বেরিয়ে যাওয়ার সময় ও'ব্রায়েনকে বলেন ধনখড়।
ধনখড় বলেন, বিরোধীদের আচরণ সভার শিষ্টাচার লঙ্ঘন করেছে এবং চেয়ারম্যানকে অপমান করেছে। তিনি বলেন, জরুরি অবস্থার সময় আমরা গণতন্ত্রের কুৎসিত অধ্যায় দেখেছি। এর শুরুটা হয় সংসদীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে। তিনি বলেছিলেন যে ফোগাটের জন্য পুরো জাতির হৃদয় রক্তক্ষরণ করছে তবে এই ঘটনাটি নগদীকরণ এবং রাজনীতিকরণ করা যায় না।
বিরোধীদের আচরণকে নিন্দনীয় বলে মন্তব্য করেছেন বিধানসভার নেতা জেপি নাড্ডা। তিনি বলেন, গণতন্ত্র মানুষকে তাদের মতামত প্রকাশের অনুমতি দেয়, তবে একটি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। নাড্ডা বলেন, ফোগাটের অযোগ্যতার বিষয়টি সরকার বনাম বিরোধীদের রাজনৈতিক ইস্যু হিসাবে দেখা যায় না।