বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহবুদ্দিন জানিয়েছেন, তিনি শুনেছেন যে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। কিন্তু তাঁর কাছে এনিয়ে কোনও তথ্যমূলক প্রমাণ নেই। দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, তিনি জানিয়েছেন, আমি বার বার জোগাড় করার চেষ্টা করেছি( ইস্তফাপত্র) কিন্তু সেটা করতে পারিনি। হয়তো তিনি সময় পাননি। মানব জমিনের চিফ এডিটর তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তিনি হাসিনার পদত্যাগপত্র সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন।
মানব জমিনের রাজনৈতিক ম্যাগাজিন জনতার চোখ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল এই লেখাটি। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে রাষ্ট্রপতি কী বলেছিলেন। প্রসঙ্গত গত ৫ অগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। ছাত্র সংগ্রামের জেরে তিনি দেশ ছাড়তে বাধ্য় হন।
এদিকে বাংলাদেশের সংবিধান অনুসারে যদি কোনও প্রধানমন্ত্রী তাঁর পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেন তবে তাঁর অফিস ফাঁকা হয়ে যায়। এদিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, গত ৫ অগস্ট সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে বঙ্গভবনে একটা ফোন আসে। বলা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে আসতে চাইছেন। এরপরই বঙ্গভবনে প্রস্তুতি শুরু হয়। তার এক ঘণ্টা পরে ফোন করে বলা হয় তিনি আসছেন না।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি জানতাম না কী হয়েছে। আমি গুজবের উপর নির্ভর করতে পারি না। এরপর মিলিটার সেক্রেটারি জেনারেলকে বলি কী হয়েছে জানতে। তার কাছেও খবর ছিল না। আমরা টিভিতে নজর রাখছিলাম। তবে সেখানেও কোনও খবর নেই।
সেই সময় জানতে পারলাম তিনি দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তিনি আমায় কিছু বলেননি। আমি আপনাকে এটাই বলছি যেটা সত্যি। এরপর আর্মি চিফ জেনারেল বঙ্গভবনে আসেন। আমি তাঁকে প্রশ্ন করি প্রধানমন্ত্রী কি পদত্য়াগ করেছেন? তিনি একই উত্তর দেন, আমি শুনেছি তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। তিনি হয়তো জানানোর সময় পাননি।
শাহবুদ্দিন জানিয়েছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে একদিন ক্যাবিনেট সচিব সেই ইস্তফাপত্রটি নিতে এসেছিলেন, আমি তাঁকে বললাম আমি সেটাও খুঁজছি। রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, এনিয়ে বিতর্কের কিছু নেই। প্রধানমন্ত্রী ছেড়ে চলে গিয়েছেন। এটা সত্যি।আমি এনিয়ে সুপ্রিম কোর্টের মতামত চেয়েছিলাম। তবে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার তৈরি করা যেতে পারে। সাংবিধানিক শূন্যতা দূর করার জন্য় এটা তৈরি করা যেতে পারে।