বন্দুক নিয়ে যে একজন ছাদের উপরে উঠছে, তা পুলিশকে দেখিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ অফিসার বা সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টরা কোনও পদক্ষেপ করেননি। আর তারপরই পরপর পাঁচবার গুলি চালানোর শব্দ শুনতে পান। এমনই অভিযোগ করলেন এক যুবক। তিনি দাবি করেছেন, পেনিসিলভানিয়াতে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপর যখন গুলি চলে, তখন তিনি সেখানেই ছিলেন। তাঁর সামনেই পুরো ঘটনা ঘটেছে। আর গুলি চালনার ঘটনায় পুলিশ এবং সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টদের গাফিলতি ছিল বলে দাবি করেছেন ওই যুবক। যদিও গুলি চালানোর পরে ওই বন্দুকবাজের ‘মাথা উড়িয়ে দেওয়া হয়’।
'৫০ ফুট দূরের বাড়িতে উঠছিল আততায়ী'
সংবাদমাধ্যম বিবিসিতে একটি সাক্ষাৎকারে ওই যুবক দাবি করেছেন, ট্রাম্পের ভাষণ শুরু হওয়ার পাঁচ-সাত মিনিট পরে দেখতে পান যে হামাগুড়ি দিয়ে তাঁদের পাশে থাকা বাড়ির ছাদে একজন উঠছে। তাঁরা যেখানে ছিলেন, সেখান থেকে ওই বাড়িটার দূরত্ব মেরেকেটে ৫০ ফুট হবে। ওই ব্যক্তির হাতে বন্দুক ছিল।
ওই যুবকের কথায়, ‘আমরা পুলিশকে বলি যে এই দেখুন, ওখানে হাতে বন্দুক নিয়ে একজন আছে। পুলিশ যেন দিশাহীন ছিল। ওরা যেন বুঝতেই পারছিল না, আমরা কী বলছি। কেউ যে হামাগুড়ি দিয়ে যাচ্ছে, সেটা যেন ওরা দেখতেই পাচ্ছিল না। আমরা বলতে থাকি যে আমরা এখান থেকে দেখতে পাচ্ছি। ও হামাগুড়ি দিয়ে যাচ্ছে।’
‘আমি শুধু আঙুল তুলে দাঁড়িয়েছিলাম’
তিনি আঙুল দিয়ে দেখানোর পরে কেন পুলিশ অফিসার এবং সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টরা কোনও পদক্ষেপ করলেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ওই যুবক। তাঁর কথায়, '(আমি আঙুল দেখিয়ে সতর্ক করার পরও) কেন ট্রাম্পকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে আনা হল না? দু'তিন মিনিট ধরে আমি ছাদের দিকে আঙুল দেখিয়ে রেখেছিলাম। উপর থেকে আমাদের দিকে দেখছিলেন সিক্রেট সার্ভিসের এজেন্টরা। আমি শুধু আঙুল তুলে দাঁড়িয়েছিলাম। তারপর পাঁচটা গুলির শব্দ গোনা গেল।'
নিরাপত্তায় ব্যবস্থায় খামতির অভিযোগ
তবে তিনি জানিয়েছেন, যে বাড়ির ছাদে ওই আততায়ী ছিল, সেটা এমনভাবে অবস্থিত ছিল যে পুলিশ অফিসার বা সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টরা সম্ভবত তাকে দেখতে পাননি। তাতে অবশ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থার গাফিলতি অস্বীকার করা যাবে না বলে দাবি করেছেন ওই যুবক। তাঁর বক্তব্য, যেখানে ট্রাম্প জনসভা করছিলেন, সেটা তো খুব বড় এলাকা নয়। তাহলে কেন প্রতিটি বাড়ির ছাদে সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টদের রাখা হল না?
আরও পড়ুন: Donald Trump: বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, যুক্ত থাকতে পারেন বাইডেন, ট্রাম্পের উপর হামলায় অন্য সুর আমেরিকায়