তালিবান কাবুল দখল করার পর থেকেই আফগানিস্তানে নারী সুরক্ষা ও স্বাধীনতা প্রশ্ন চিহ্নের মুখে পড়ে। মেয়েদের স্কুলে যাওয়া থেকে বাধা দেওয়া শুরু হয় বহু জায়গায়। ছেলে আর মেয়েদের একসঙ্গে ক্লাস করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। এই আবহে সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। তাতে খুদেদের দেখা যায় আফগানিস্তানকে মুক্তি দেওয়ার বার্তা সহ প্ল্যাকার্ড উঁচিয়ে ধরতে। সঙ্গে মেয়েরা স্কুলে যেতে চান বলেও জানান। ভিডিয়োটি বিলাল সারওয়ারি এক আফগান সাংবাদিক টুইট করেন। উল্লেখ্য, বিলাল নিজেও তালিবানি অত্যাচার থেকে বাঁচতে আফগানিস্তান ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
কয়েকদিন আগে এক নির্দেশিকা জারি করে তালিবানের তরফে জানানো হয়, ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি সমস্ত ছাত্র এবং পুরুষ শিক্ষকরা স্কুলে যেতে পারবেন। সেই বিবৃতিতে মেয়েদের স্কুলে যাওয়া নিয়ে একটি শব্দও খরচ করা হয়নি। যা থেকে স্পষ্ট হয় যে, নারী শিক্ষা নিয়ে ২০২১ সালের তালিবান ২০০১-এ তালিবানের মতাদর্শ অনুসরণ করেই চলছে।
কবে থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীরা স্কুলে যেতে পারবে সে বিষয়ে ধোঁয়াশা থেকেই যাচ্ছে। এই অবস্থায় ফের উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে যে, তালিবান সরকার আবার মেয়ে এবং মহিলাদের পড়াশোনার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে।
গত মাসে কাবুল দখল করার পর থেকে তালিবান প্রথম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির মেয়েদের পুনরায় স্কুলে আসার অনুমতি দিয়েছিল। এর আগে ১৯৯০-এর দশকে তারা যখন আফগানিস্তানে শাসন করেছিল, তখন মেয়ে এবং মহিলাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া এবং কাজ করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। এইমুহূর্তে স্বাস্থ্য বিভাগ, হাসপাতাল এবং শিক্ষাক্ষেত্রে কর্মরত মহিলারা ছাড়া আফগানিস্তানের কিছু প্রদেশে এখনও অনেক ক্ষেত্রেই মহিলাদের কাজে যাওয়ার অনুমতি নেই।