প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ডে মঙ্গলবার স্বীকার করে নিয়েছেন যে ইউপিএ ২ জমানায় তিনি যখন কাশ্মীরের লালচকে গিয়েছিলেন তখন তাঁর মনের মধ্য়ে জঙ্গিভীতি ছিল।
জম্মু ও কাশ্মীরের ভোট শুরু হওয়ার আগেই তাঁর এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তিনটি পর্বে ভোট হবে জম্মু ও কাশ্মীরে। ১৮ সেপ্টেম্বর, ২৫শে সেপ্টেম্বর ও ১ অক্টোবর।
৫ অক্টোবর ফলাফল ঘোষণা করা হবে। তার আগেই কার্যত বোমা ফাটালেন কংগ্রেস নেতা।
রাজনীতিতে পাঁচ দশক শীর্ষক একটি বইয়ের প্রকাশ করেন তিনি। সেখানে তিনি বলেন, শ্রীনগরের লাল চকে তাঁকে একটি বক্তব্য রাখার জন্য বলা হয়েছিল। তাতে তিনি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন।
তিনি জানিয়েছেন, আমি যখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলাম তখন শিক্ষাবিদ বিজয় ধরের সঙ্গে দেখা করেছিলাম। আমি তাঁর পরামর্শ চাইতাম। তিনি বলতেন এদিক ওদিক না গিয়ে শ্রীনগরের লালচকে যান। সেখানকার মানুষের সঙ্গে কথা বলুন। ডাল লেকের ধারে ঘুরুন।
সেই সময় তাঁর এই পরামর্শ আমায় খুব জনপ্রিয়তা দিয়েছিল। মানুষ ভাবতেন হোম মিনিস্টার নির্ভয়ে এলাকায় ঘুরছেন। কিন্তু কীভাবে বলব আমার কী ভয় হচ্ছিল! আমি আপনার হাসির জন্য শুধু বললাম কিন্তু একজন প্রাক্তন পুলিশকর্তা এভাবে বলতে পারেন না।
কংগ্রেস নেতার এই বক্তব্য শুনে বিজেপি নেতা শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, এটা একটা প্রমাণ যে ৩৭০ ধারা বিলোপ করার আগে কংগ্রেস, এনসি, পিডিপি পাকিস্তান-পরস্তি, পরিবারবাদী রাজনীতি করত। কাশ্মীরে পাথর ছোঁড়া হত।
বর্তমানে ডিডিডির রাজনীতি চলে কাশ্মীরে। উন্নয়ন, আলোচনা আর বিকেন্দ্রীকরণের রাজনীতি চলে। বর্তমানে জঙ্গিবাদ অনেকটাই কমছে। পাথর ছোঁড়ার ঘটনা কমেছে। সেই আগের মতো দোকানপাট আর বন্ধ থাকে না। আগে দেখা যেত রাস্তায় জঙ্গিরা গুলি চালাচ্ছে। আর এখন শচিন ক্রিকেট খেলেন। সুশীল কুমার শিন্ডে যে পয়েন্টটা তুলেছেন সেটা তো অন্তত একবার দেখা দরকার। প্রসঙ্গত ২০১২ সালে শিন্ডে ছিলেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সুশীল কুমার শিন্ডে