বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Mukul Roy: অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করব, শুভ্রাংশুর বিজেপি করা উচিত, সাফ জানালেন মুকুল রায়

Mukul Roy: অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করব, শুভ্রাংশুর বিজেপি করা উচিত, সাফ জানালেন মুকুল রায়

কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে মুকুল রায় ও শুভ্রাংশু রায়। ফাইল ছবি

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এদিন মুকুল রায় কার্যত গুলিয়ে দিয়েছেন বাংলার রাজনীতিকে। অনেকেরই মনে পড়ে যাচ্ছে সেই আপ্ত বাক্য, তৃণমূল মানেই বিজেপি, বিজেপি মানেই তৃণমূল।

স্বেচ্ছায় এসেছি। অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলব। একটি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের কাছে নিজের অবস্থান খোলসা করলেন মুকুল রায়।

তিনি এদিন ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিকে ফোনে বলেন, লোকসভার সেশন ছিল। লোকসভার মেম্বার ছিলাম। আমি বিধানসভায় কোনওদিনই ছিলাম না। বাড়ি থেকে বেরলেই যদি অপহরণের মামলা করে তবে হতেই পারে। আমি নিজের ইচ্ছায় এসেছি। যার খুশি অভিযোগ করতেই পারে। কাল সন্ধ্যায় একবার শুভ্রাংশুর সঙ্গে কথা হয়েছে। বিজেপি করব কি না সিদ্ধান্ত নিইনি। সেরকম হলে করব আবার। যে কদিন দরকার হবে দিল্লিতে থাকব। নিশ্চয়ই কথা বলব। অমিত শাহ, নাড্ডাজীর সঙ্গে কথা বলব। এতদিন পুরোপুরি রাজনীতি করতে পারিনি। এবার সুস্থ হয়েছি, রাজনীতিটা করব। বিজেপিটা করব। সেই সঙ্গেই তাঁর সংযোজন, আমি মনে করি শুভ্রাংশুর বিজেপি করা উচিত ওর পরিবারের পক্ষেও ভালো। মুকুল রায় আছে বলে পশ্চিমবঙ্গের কি কোনও লাভ হয়েছে।

তিনি অপর এক প্রতিনিধিকে বলেন, দিল্লিতে আছি।গতকাল নিজের ইচ্ছায় এসেছি। প্রথম কথা হচ্ছে অনেক সময় না জানিয়ে চলে আসতে হয়। আমাদের বেরতে হবে। ওসব বাজে নিখোঁজ। অভিযোগ ঠিক নয়। অনেক কাজ আছে। মিটিং হতেই পারে। শরীর একেবারে ঠিক আছে। কৈলাশজী সহ বহু নেতার সঙ্গে কথা বলেছি।

এদিকে সোমবার রাতে আচমকাই রটে যায় নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন মুকুল রায়। এনিয়ে তুমুল হইচই পড়ে যায়। মঙ্গলবার এনিয়ে মুখ খুলেছিলেন মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায়। শুভ্রাংশু বলেছিলেন, যে দল সবথেকে বেশি আমাদের পাশে রয়েছে সেই তৃণমূলেই রয়েছেন বাবা। এটা ছেলে হিসাবে আমার মত। তবে এখন কী হচ্ছে জানি না। পুলিশ চেষ্টা করছে। দিল্লিতে আছি এটা জানি। তবে কোথায় জানি না। বাবা যদি বিজেপিতে জয়েন করে তবে সুস্থ অবস্থায় যোগ দিচ্ছে না এটা বলছি। ছেলে হিসাবে সন্তানের কর্তব্য বাবার চিকিৎসা করানো।

এদিকে মুকুল কার্যত খোলসা করে দিয়েছেন, তিনি বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে দেখার করার জন্য স্বেচছায় দিল্লি এসেছি। এমনকী বিজেপি নেতারাই নাকি তাঁর থাকার ব্যবস্থা করেছেন। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এদিন মুকুল রায় কার্যত গুলিয়ে দিয়েছেন বাংলার রাজনীতিকে। অনেকেরই মনে পড়ে যাচ্ছে সেই আপ্ত বাক্য, তৃণমূল মানেই বিজেপি, বিজেপি মানেই তৃণমূল।

 

বন্ধ করুন