মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান জানিয়েছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের বিভ্রান্ত হওয়া তিনি বরদাস্ত করবেন না। আর অশ্লীল শিক্ষা এবং সন্ত্রাসবাদী তৈরি করার মতো শিক্ষাকে অনুমতি দেওয়া হবে না। শিক্ষক–শিক্ষা নিয়ে দু’দিনের জাতীয় সেমিনারে এসেছিলেন তিনি। এই সেমিনারটি আয়োজন করেছিল মধ্যপ্রদেশের শিক্ষা দফতর ও বিদ্যা ভারতী উচ্চশিক্ষা সংস্থান। এই বেসরকারি সংস্থাটি আরএসএস পরিচালিত।
এখানের সেমিনারে যোগ দিয়েই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেব না, যারা ছাত্রছাত্রীদের ভুল শিক্ষা দেবে। এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেও অনুমতি দেওয়া হবে না যাতে অশ্লীল শিক্ষা এবং সন্ত্রাসবাদী তৈরি হয়।’ অথচ এই আরএসএস প্রভাবিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কেন এভাবে শিক্ষাব্যবস্থায় কায়েম করা হচ্ছে তা নিয়ে কিছু বলেননি তিনি। বরং বিদ্যা ভারতীর প্রশংসা করে বলেন, ‘শিক্ষা জগতে বিদ্যা ভারতী দারুণ কাজ করছে। তাঁদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করতে হয়।’
শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হল জ্ঞান অর্জন করা। নয়া শিক্ষা নীতিতে এই সবকিছুই রয়েছে। একদিকে জ্ঞান অর্জন করা যাবে অন্যদিকে দক্ষতাও তৈরি হবে। মধ্যপ্রদেশই প্রথম রাজ্য যারা নয়া শিক্ষা নীতিকে নিয়ে টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এই বিষয়ে মধ্যপ্রদেশের শিক্ষামন্ত্রী ইন্দার সিং পারমার বলেন, ‘গোটা দেশের শিক্ষাবিদরা এক জায়গায় এসে নয়া শিক্ষা নীতি তৈরি করেছেন। তাঁদের মতামত নিয়েই এই নয়া শিক্ষা নীতি তৈরি করা হয়েছে।’ তবে এই বিষয়ে সুশীল সমাজের এক সদস্য এলএস হারদেনিয়া বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে আরএসএসের প্রতিচ্ছবি দেখা যাচ্ছে। নাম না করে তিনি বিশেষ কোনও গোষ্ঠীকে টার্গেট করেছে। মুখ্যমন্ত্রী উচিত পরিষ্কার করে বলা। মিথ্যে ছড়ানো তাঁর উচিত নয়।’
মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র জেপি ধানোপিয়া অভিযোগ করেন, ‘আগে বিজেপি তাদের নিজেদের মতাদর্শ বেসরকারিভাবে প্রচার করত। এখন তা প্রকাশ্যে করছে। বিদ্যা ভারতীর প্রশংসা করে নির্দিষ্ট কোনও সংস্থাকে টার্গেট করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী।’ আর এরই পাল্টা বিজেপি মুখপাত্র রজনীশ আগরওয়াল বলেন, ‘বিদ্যা ভারতী শিক্ষা জগতে সত্যি খুব ভাল কাজ করছে। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে বিকৃত করা হচ্ছে।’