বায়ুসেনার হাতে সময়মতো তেজস যুদ্ধবিমান তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকালসের ওপর ঠিক ভরসা করতে পারছেন ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং। রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ১০ ফেব্রুয়ারি একটি ভিডিয়ো তোলা হয়েছিল বেঙ্গালুরুতে। তাতেই এয়ার চিফ মার্শালকে বলতে শোনা যায়, 'হ্যালকে আমাদের উদ্বেগ মেটাতে হবে। আমাদের আরও বেশি ভরসা দিতে হবে। তবে এই মুহূর্তে আমি হ্যালের ওপর বেশি ভরতা করতে পারছি না। এটা আসলে ঠিক না। আমি হ্যালকে আমাদের চিন্তা এবং উদ্বেগের কারণগুলি বলতে পারি। এই পর্যন্তই।' (আরও পড়ুন: মোদীর সঙ্গে বৈঠকে সুন্দর পিচাই, আলোচনা 'ভারতের ডিজিটাল রূপান্তর' নিয়ে)
আরও পড়ুন: প্রয়াত রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস, বয়স হয়েছিল ৮৫
উল্লেখ্য, সময়মতো ডেলিভারি না করতে পারার জন্যে এর আগেও হ্যালের ওপর অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বিমান বাহিনীর প্রধান। এই আবহে তাঁর সাম্প্রতিকতম মন্তব্যের পর মুখ খোলেন হ্যাল চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, 'বায়ুসেনা প্রধানের উদ্বেগ যথার্থ। তবে কিছু সমস্যা ছিল, তা এখন মিটে গিয়েছে।' তিনি দাবি করেন, শীঘ্রই তারা তেজস ডেলিভারি শুরু করবে। তিনি বলেন, 'আমরা সব কাঠামো তৈরি করেছি। একবার আমাদের হাতে ইঞ্জিন চলে এলে আমরা বিমান ডেলিভারি শুরু করে দেব।' (আরও পড়ুন: 'কেনার কী আছে, নিয়ে নেব...', গাজা নিয়ে আরও কড়া বার্তা ডোনাল্ড ট্রাম্পের)
আরও পড়ুন: 'এটা একটা ফেজ...', ভারতে এসে মোদী সরকারের 'প্রশংসা' বাংলাদেশি উপদেষ্টার গলায়
উল্লেখ্য, ৮৩টি তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমানের জন্যে গত ২০২১ সালে ৪৬,৮৯৮ কোটি টকার চুক্তি হয়েছিল ভারত বায়ুসেনা এবং হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের। তেজসের নৌ সংস্করণ ব্যবহার করতে চলেছে ভারতীয় নৌসেনাও। এরই মধ্যে তেজসের মার্ক-১ ফাইটার জেটের দু’আসন বিশিষ্ট নয়া প্রশিক্ষণ সংস্করণটি আনুষ্ঠানিক ভাবে তুলে দেওয়া হয়েছে বায়ুসেনার হাতে। নরেন্দ্র মোদী সেই প্রশিক্ষণ বিমানেই চেপেছিলেন। গত ৯ ফেব্রুয়ারি সেই বিমানে করে আকাশে ওড়েন ভারতীয় বিমান বাহিনী এবং স্থল সেনার প্রধানরাও।
প্রসঙ্গত, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে বায়ুসেনাকে ১৬টি তেজস যুদ্ধবিমান সরবরাহ করার কথা ছিল হ্যাল-এর। তবে মার্কিন সংস্থা জেনারেল ইলেকট্রিকের জেরে সেই লক্ষ্য পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে হ্যাল। রিপোর্ট অনুযায়ী, তেজস যুদ্ধবিমান ভারতে তৈরি করা হলেও এর ইঞ্জিন সরবরাহ করার কথা জেনারেল ইলেকট্রিকের। তবে তারা সময় মতো ইঞ্জিন সরবরাহ করছে না। আর তাই পূর্বনির্ধারিত সময় মতো বায়ুসেনর হাতে তেজস যুদ্ধবিমান তুলে দিতে ব্যর্থ হয়েছে হ্যাল। এই আবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আধিকারিকরা জানিয়েছেন, নতুন বিমানের এফ৪০৪ ইঞ্জিন সরবরাহের গতি বাড়ানোর জন্য মার্কিন সংস্থা জিই এরোস্পেসের সঙ্গে আলোচনা চালিয়েছে হ্যাল। বস্টনের কাছে একটি কারখানায় গিয়ে এই ইঞ্জিন তৈরির কাজ দেখে এসেছেন শীর্ষ ভারতীয় আধিকারিকরা।