বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > IAF deployed fighter jet at Tawang: কয়েকদিন ধরেই তাওয়াঙে উঁকিঝুঁকি চিনা ড্রোনের, উড়েছিল ভারতের যুদ্ধবিমান - রিপোর্ট

IAF deployed fighter jet at Tawang: কয়েকদিন ধরেই তাওয়াঙে উঁকিঝুঁকি চিনা ড্রোনের, উড়েছিল ভারতের যুদ্ধবিমান - রিপোর্ট

সুখোই-৩০এমকেআই যুদ্ধবিমান। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে এএফপি)

IAF deployed fighter jet at Tawang: রিপোর্ট অনুযায়ী, চিন সীমান্তের বিষয়টি মাথায় রেখে উত্তর-পূর্ব ভারতে বায়ুসেনার যথেষ্ট শক্তি বাড়িয়েছে। অসমের তেজপুর, ছাবুয়া-সহ একাধিক জায়গায় সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমানের একাধিক স্কোয়াড্রন মোতায়েন করে রাখা হয়েছে।

শুক্রবার ভারত ও চিন সংঘাতের আগে থেকেই উত্তপ্ত হচ্ছিল পরিস্থিতি। অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারতীয় ছাউনির দিকে আগ্রাসীভাবে একাধিকবার চিনা ড্রোন এগিয়ে এসেছিল। সেই পরিস্থিতিতে ওই এলাকায় যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। সূত্র উদ্ধৃত করে এমনই জানানো হল সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদনে।

ওই সংবাদসংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সূত্র জানিয়েছে যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর হলিদীপ এবং পরিক্রমা এলাকার কাছে ইয়াংসিতে আগ্রাসী পদক্ষেপ করছে চিনা সেনা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক সূত্র বলেছে, ‘গত কয়েক সপ্তাহে দু'তিনবার আমাদের যুদ্ধবিমান ওড়ানো হয়েছিল। কারণ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর আমাদের ছাউনির দিকে এগিয়ে আসছিল চিনা ড্রোন। আকাশসীমা লঙ্ঘন যাতে না হয়, সেজন্য সুখোই-৩০এমকেআই নামানো হয়েছিল।’

ওই সূত্র জানিয়েছে, উত্তর-পূর্ব ভারতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চিনের ড্রোনের গতিবিধির উপর লাগাতার নজর রেখে যায় ভারতীয় বায়ুসেনা। ভারতের আকাশসীমা লঙ্ঘন করতে পারে না ওরকম কোনও ড্রোন বা কোনও বিমান। সেজন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সূত্র উদ্ধৃত করে এএনআই জানিয়েছে, যদি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার সমান্তরালে কোনও ড্রোন ওড়ে, তাহলে ভারতের কোনও আপত্তি নেই। কোনও ড্রোন ভারতীয় ভূখণ্ডের দিকে এগিয়ে আসছে বলে র‍্যাডারে ধরা পড়লেই বায়ুসেনা পদক্ষেপ করে।

আরও পড়ুন: Rajnath Singh on Tawang Face-off: তাওয়াঙে কী ঘটেছিল ৯ ডিসেম্বর? সংসদে জানালেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং

উত্তর-পূর্ব ভারতে বাড়তি নজর বায়ুসেনার

চিন সীমান্তের বিষয়টি মাথায় রেখে উত্তর-পূর্ব ভারতে বায়ুসেনার যথেষ্ট শক্তি বাড়িয়েছে। অসমের তেজপুর, ছাবুয়া-সহ একাধিক জায়গায় সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমানের একাধিক স্কোয়াড্রন মোতায়েন করে রাখা হয়েছে। সেইসঙ্গে পশ্চিমঙ্গের হাসিমারায় একাধিক রাফাল যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা আছে। যা ভারত-চিন সীমান্তের কাছেই অবস্থিত। ফলে প্রয়োজন হলে হাসিমারা থেকে রাফাল ওড়ানো হতে পারে। 

আরও পড়ুন: Tawang Face-off probable reason: কেন অরুণাচলে আগ্রাসী চিন? দুই দেশের সেনার সংঘর্ষের নেপথ্যে কোন কারণ?

সেইসঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতে এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা শক্তিশালী করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। ইতিমধ্যে অসম সেক্টরে এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স চালু করা হয়েছে। যে সিস্টেমের মাধ্যমে পুরো উত্তর-পূর্ব ভারতের আকাশসীমায় যে কোনও বিপদ রুখে দেওয়া হয়। সেই পরিস্থিতি বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, চিন যেভাবে আগ্রাসী হয়ে তাওয়াং সেক্টরে এগিয়ে এসেছিল, তাতে ভারতের নীতি পরিবর্তন করা উচিত।

বন্ধ করুন