ঘণ্টায় ৮০০ কিমি গতিবেগের স্বয়ংক্রিয় আকাশযান রফতানির উপরে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জারি করা নিষেধাজ্ঞার জেরে উপকৃত হবে ভারত। এর ফলে আমেরিকা থেকে সশস্ত্র প্রিডেটর বি ড্রোন এবং নজরদারির জন্য গ্লোবাল হক ড্রোন আমদানির পথে কোনও বাধা থাকল না। এই দুই ড্রোনের গতিবেগই ঘণ্টায় ৮০০ কিমির কম।
এমটিসিআর ইউএএস ধারায় মার্কিন প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও পাকিস্তানে ক্ষিপ্রগতি সম্পন্ন উইং লুং সশস্ত্র ড্রোন রফতানি অব্যাহত রেখেছে চিন। এ ছাড়া ইয়েমেন ও লিবিয়ার গৃহযুদ্ধেও এই ড্রোন পাঠানো চালু রেখেছে বেজিং। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে পাকিস্তানে ৪টি এই ধরনের ড্রোন পাঠিয়েছে চিন।
জানা গিয়েছে, সিপিইসি ও গ্বদর বন্দরের নিরাপত্তার স্বার্থেই পাঠানো হয়েছে উইং লুং ড্রোনগুলি। এই ড্রোনের সাহায্যে ১,০০০ কেজি ওজনের বোমা অথবা এয়ার টু সার্ফেস মিসাইল পাঠানো যায়। চিন বা পাকিস্তান কেউই এমসিটিআর সদস্য না হওয়ায় মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ছে না।
ভারতীয় উপমহাদেশে উইং লুং ড্রোনের আবির্ভাবের কারণেই এবার আমেরিকা থেকে প্রিডেটর-বি আমদানিতে সচেষ্ট হয়েছে দিল্লি। এই সশস্ত্র ড্রোনের সাহায্যে ৪টু হেল-ফায়ার বোমা এবং দু’টি ৫০০ পাউন্ড ওজনের লেসার নিয়ন্ত্রিত বোমা পাঠানো যায়।
ভারতের সঙ্গেই এই ড্রোন সংগ্রহ করতে পারবে আমেরিকার বন্ধু রাষ্ট্র সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ও মিশর।
প্রিডেট-বি ড্রোনের দাম প্রায় যুদ্ধবিমানের কাছাকাছি হওয়ার কারণে ফাইটার জেটের সংখ্যায় কাটছাঁট করতে হতে পারে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অনুমোদিত ৪২টি স্কোয়াড্রনের মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত হতে পারে বিশেষ সশস্ত্র ড্রোন স্কোয়াড্রন।