ভারতীয় বায়ুসেনার এক ফ্লাইং অফিসার সদ্য, তাঁকে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন সেনার এক উইং কমান্ডারের বিরুদ্ধে। ধর্ষণে অভিযুক্ত উইং কমান্ডারকে জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্ট সদ্য প্রাক গ্রেফতারি জামিন দিয়েছে। কোর্ট বলেছে, ‘ উইং কমান্ডার যিনি এই বিষয়ের জন্য আবেদন করেছেন, তাঁর গ্রেফতারি হলে, তাঁর সুনাম ও সার্ভিস কেরিয়ার নষ্ট হবে।’
জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্ট বলছে, তার অনুমতি না নিয়ে কিছুতেই ওই বায়ুসেনার উইং কমান্ডারের বিরুদ্ধে চার্জশিট ফাইল করা যাবে না। এই চার্জশিট ফাইল করতে পারবে না পুলিশ। জম্মু ও কাশ্মীরের হাইকোর্টের বিচারকের সিঙ্গল বেঞ্চ বলেছে,' আদালত তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে। তবে আমরা নির্দেশ দিচ্ছি যে এই আদালতের অনুমতি ছাড়া চার্জশিট দাখিল করা যাবে না।' ওই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অ্যাডিশনাল অ্যাডভোকেট জেনারেলকে একটি স্টেটাস রিপোপ্রট পরের শুনানিতে পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। হাইকোর্ট অভিযুক্ত উইং কমান্ডারকে ১৪ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর তদন্তকারী অফিসারের সাথে দেখা করতে বলেছে এবং তারপরে যখনই প্রয়োজন হবে তিনি যেন দেখা করেন, এমন নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট। এছাড়াও অভিযুক্তকে ৫০ হাজার টাকার ‘শিওরিটি’ জমা দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে অভিযুক্ত অফিসারকে বলা হয়েছে, তাঁর কমান্ডিং অফিসারের অনুমতি ছাড়া জম্মু ও কাশ্মীর ছেড়ে যেতে পারবে না তিনি। এছাড়াও মামলার সঙ্গে জড়িত কোনও সাক্ষীর সঙ্গে তিনি দেখাও করতে পারবেন না বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট।
এদিকে, ২৬ বছর বয়সী মহিলা ফ্লাইং অফিসার তাঁর অভিযোগে জানিয়েছেন যে তিনি গত দুই বছর ধরে হয়রানি, যৌন নিপীড়ন এবং মানসিক নির্যাতন সহ্য করছেন। মহিলা ফ্লাইং অফিসারের অভিযোগ, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে, ওই উইং কমান্ডার নিউ ইয়ার উপহারের নাম করে নিজের ঘরে ডেকে আনেন। মহিলার দাবি, তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি কি নিউ ইয়ারের উপহার পেয়েছেন? তাতে না বলেন মহিলা। তারপরই ওই অফিসার বলেন, সেই উপহার তাঁর ঘরে রয়েছে। উইং কমান্ডারের বাড়িতে যেতেই মহিলা প্রশ্ন করেন যে, কমান্ডারের পরিবার কোথায়? তিনি বলেন, তাঁরা অন্যত্র রয়েছেন। ফ্লাইং অফিসারের অভিযোগ, ওই উইং কমান্ডার তাঁকে ‘ওরাল সেক্স’ এ বাধ্য করেছেন, এবং তাঁকে যৌন নির্যাতন করেন। মহিলার দাবি, তিনি অফিসারকে রোখার চেষ্টা করলেও, লাভের লাভ হয়নি।