কর্নাটকে কার্যত নজিরবিহীন ঘটনা। আইপিএস আধিকারিক ডি রূপা মৌদগিল সম্প্রতি আইএএস আধিকারিক রোহিনী সিন্দুরীর কিছু ছবিকে প্রকাশ করে দেন। তাঁর দাবি, তিনজন পুরুষ আধিকারিকের কাছে ছবি পাঠানো হয়েছে। সব মিলিয়ে আইপিএস রূপা ইতিমধ্যে আইএএস রোহিনীর বিরুদ্ধে অন্তত ১৯টি অভিযোগ এনেছেন। আমলাদের মধ্য়ে এই বিবাদকে কেন্দ্র করে সরগরম কর্নাটক।
সিন্দুরি একটি মিডিয়া স্টেটমেন্টে জানিয়েছেন, রূপা তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে, ব্য়ক্তিগতস্তরে আক্রমণ করছেন। এমনকী তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্য়বস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
সিন্দুরি জানিয়েছেন, সোশ্য়াল মিডিয়া থেকে রূপা আমার ছবি সংগ্রহ করেছেন। আমার হোয়াটস অ্যাপ স্ট্যাটাস থেকেও স্ক্রিনশট নিয়েছেন। এরপর আমায় অপমান করছেন। তিনি বলছেন আমি নাকি তাঁর ছবি তিনজন পুরুষ আধিকারিককে পাঠিয়েছি। আমি বলছি এবার নামগুলো তিনি বলুন।
এদিকে এনিয়ে সংবাদ মাধ্যম কর্নাটকের মুখ্য়মন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইকে প্রশ্ন করেছিল। কিন্তু তিনি জানিয়েছেন গোটা বিষয়টি একেবারে ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু ঘটনাটা ঠিক কী হয়েছে?
রবিবার রূপা তাঁর ফেসবুক পেজে সিন্দুরির সাতটি ছবি শেয়ার করেন। তিনি অভিযোগ করেন সিন্দুরি ২০২১ ও ২০২২ সালে আইএএস পুরুষ অফিসারদের কাছে ছবি শেয়ার করেছিলেন। সেই পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, এর মানেটা কী দাঁড়াচ্ছে ? একজন মহিলা আইএএস অফিসার একজনকে নয়, দুজনকে নয়, তিনজন পুরুষ আইএএস অফিসারের কাছে ছবি পাঠিয়েছিলেন। তাহলে এটা আর প্রাইভেট ব্যাপার থাকছে না।
এদিকে একদিন আগেই তিনি জানিয়েছেন, ইন্ডিয়া সার্ভিস কন্ডাক্ট রুল অনুসারে এই ধরনের ছবি শেয়ার করা ও এই ধরনের কথাবার্তা বলা দুটোই অপরাধ।
এদিকে রূপা সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, সিন্দুরির প্রতি কোনও সহানুভূতি দেখাবেন না। তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগের তদন্ত করে দেখা দরকার। এর সঙ্গেই তিনি জানিয়েছিলেন, আমি জনগণের কাছে গোটা বিষয়টি নিয়ে আসব।
এর সঙ্গেই রূপার অভিযোগ, মাইসুরুতে একটি সুইমিং পুল তৈরি নিয়ে একটি বিভাগীয় তদন্তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সিন্দুরির বিরুদ্ধে সেই তদন্তে কিছুটা গড়িমসি করা হয়েছে। এর সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, বিভাগীয় তদন্তে ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে দোষা প্রমাণিত হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাহলে কে তাকে আড়াল করার চেষ্টা করছে?
রোহিনীর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ এনেছেন আইপিএস ডি রূপা। এদিকে রূপা জানিয়েছেন, মুছে দেওয়া ওই নগ্ন ছবির কথা বলছেন! একজন আইএসএস অফিসার কি নগ্ন ছবি পাঠাতে পারেন? তাঁকে এটার উত্তর দিতে হবে। এদিকে সিন্দুরি সংবাদিকদের জানিয়েছেন, এই প্লাটফর্মে বলার মতো বিষয় এটা নয়। এটা ঠিক হচ্ছে না। তবে এবার উভয়ের বিরুদ্ধে ব্য়বস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর।