হরিয়ানার সিনিয়র আইপিএস অফিসার ওয়াই পুরাণ কুমারের আত্মহত্যার ঘটনায় এবার নয় মোড়। চণ্ডীগড় পুলিশের কাছে বাহিনীর শীর্ষ কর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃত পুলিশ অফিসারের স্ত্রী। উল্লেখ্য, পুরাণের মৃত্যুর সময় জাপান সফরে ছিলেন তাঁর স্ত্রী অমনীত পি কুমার। তিনি দেশে ফিরে এসেই হরিয়ানার ডিজিপি শত্রুজিৎ কাপুর এবং রোহতকের এসপি নরেন্দ্র বিজারনিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, তাঁর স্বামীকে এই দু'জন হেনস্থা করতেন। উল্লেখ্য, হরিয়ানা ক্যাডারের আইএএস অফিসার অমনীত।
অমনীতের অভিযোগ, ডিজিপি এবং এসপির হেনস্থার কারণেই তাঁর স্বামী আত্মহত্যা করেন। হরিয়ানার ডিজিপি এবং রোহতকের এসপির বিরুদ্ধে তফসিলি জাতি ও উপজাতি আইনে মামলা দায়ের করার দাবি জানিয়েছেন অমনীত। প্রসঙ্গত, আইপিএস ওয়াই পুরাণ কুমার দলিত সম্প্রদায়ের ছিলেন। সম্প্রতি তাঁকে রোহতকের সুনারিয়া কারাগারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এবং আইজি পদে নিযুক্ত করা হয়েছিল। তিনি চণ্ডীগড়ের সেক্টর ১১-এ তাঁর বাসভবনে নিজেকে গুলি করে আত্মহত্যা করেছিলেন।
অমনীতের দাবি, তাঁর স্বামী সুইসাইড নোটে দাবি করেছেন যে ডিজিপি এবং রোহতকের এসপির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হোক এবং তাদের গ্রেফতার করা হোক। আইএএস অফিসার স্ত্রীর বক্তব্য, 'আমার স্বামী অত্যন্ত সততা এবং আবেগের সাথে কাজ করতেন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। সরকারিভাবে এটাকে আত্মহত্যা বলা হচ্ছে, কিন্তু আমার আত্মা বলছে, তাঁকে ক্রমাগত হয়রানির জেরেই তিনি এই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।'
অমনীত পি কুমার অভিযোগ করেছেন যে তাঁর স্বামী বছরের পর বছর ধরে হেনস্থার শিকার হয়েছেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে হয়রানি করেছিলেন এবং তাদের মধ্যে ডিজিপি শত্রুজিৎ কাপুরও ছিলেন। তিনি বলেন, 'আমার স্বামী আমাকে বলতেন যে জাতপাতের ভিত্তিতে আমার প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে। তিনি আমাকে আরও বলেছিলেন যে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে এবং আমাকে একটি মামলায় জড়ানো হতে পারে। ডিজিপির নির্দেশে এই ঘটনা ঘটছে।' তিনি বলেন, 'আমার স্বামী একটি মামলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন এবং এ কারণে তিনি তাঁর জীবন দিয়েছিলেন। আমার স্বামী ডিজিপি শত্রুজিৎ কাপুরের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বললেও তিনি তা উপেক্ষা করেন। আমার স্বামী তখন রোহতকের এসপির সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।' এই আবহে মৃত অফিসারের স্ত্রীর দাবি, এখন এই মামলায় ডিজিপি এবং রোহতকের এসপিকে গ্রেপ্তার করা উচিত।