বিয়ের দুই বছরের মধ্যে স্বামী আইএএস আতার খানের সঙ্গে দাম্পত্য বিচ্ছেদ ঘটালেন ২০১৫ সালে ইউপিএসসি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনকারী টিনা দাবি। জয়পুরের এক আদালতে পারস্পরিক সম্মতিতে এই বিচ্ছেদের আবেদন করা হয়েছে।
মুসৌরির লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ন্যাশনাল অ্যাকাডেমিতে তাঁদের প্রেমপর্ব শুরু হয়, যা পরে বিবাহসূত্রে আইনি স্বীকৃতি পায়। গোড়া থেকেই এই দম্পতি গণমাধ্যমের সূত্রে নজর কাড়েন। ২০১৫ সালের ইউপিএসসি পরীক্ষায় টিনা প্রথম স্থান অধিকার করলে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছিলেন আতার। অনেকে আবার এই দাম্পত্যকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতীক হিসেবেও মনে করেছিলেন।
আইএএস দম্পতিকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি টুইট করেছিলেন, ‘আপনাদের ভালোবাসা আরও শক্তি সঞ্চয় করুক এবং অসহনীয়তা ও সাম্প্রদায়িক ঘৃণার এই যুগে আপনারা সকলের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠুন। ঈশ্বর আপনাদের আশির্বাদ করুন।’
দিল্লিতে সেই বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন বেঙ্কাইয়া নাইডু, সুমিত্রা মহাজন, রবি শংকর প্রসাদের মতো নেতারা। কাশ্মীরে আইনি বিয়ের অনুষ্ঠানের পরে দিল্লি ছাড়াও বিয়ের রিসেপশন আয়োজিত হয়েছিল পহলগাম ও জয়পুরে।
টিনা ও আতার দুজনই রাজস্থান ক্যাডার আইএএস-এর অন্তর্ভুক্ত হন। ব্যক্তিগত ক্ষেত্রেও তাঁদের সাফল্য প্রশ্নাতীত। প্রথম দলিত মহিলা হিসেবে ইউপিএসসি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করেন টিনা। তাঁর চেয়ে এক বছরের বড় আতার আবার অস্থির দক্ষিণ কাশ্মীরের অধিবাসী। অন্য দিকে, আইইএস বাবা-মায়ের সন্তান টিনা ধাবি মূলত ভোপালের বাসিন্দা।
দিল্লির লেডি শ্রীরাম কলেজে রাষ্ট্র বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছেন টিনা। আর হিমাচলের আইআইটি মান্ডি থেকে বিটেক পাশ করেন আতার খান।
চাকরিসূত্রে দুজনে প্রথমে একই শহরে থাকলেও পরে টিনাকে শ্রী গঙ্গানগরে জেলা পরিষদের সিইও পদে বদলি করা হয়। তাঁর স্বামী আতার খানও জেলা পরিষদের সিইও পদে বর্তমানে জয়পুরে বহাল রয়েছেন।