আইনিভাবে ইতি পড়ল আইএএস অফিসার টিনা ধাবি এবং আতার খানের প্রেম কাহিনিতে। তাঁদের বিবাহ-বিচ্ছেদের পর আবেদন মঞ্জুর করেছে জয়পুরের এক পরিবারিক আদালত। ‘হিন্দুস্তান টাইমস’ গ্রুপের ‘লাইভ হিন্দুস্তান’-এর প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়েছে।
পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে গত বছর নভেম্বরে জয়পুরের ওই আদালতে বিবাহ-বিচ্ছেদের পর আবেদন জানিয়েছিলেন টিনা এবং আতার। যাঁরা ২০১৮ সালের এপ্রিলের বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন উপ-রাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। লোকসভার তৎকালীন অধ্যক্ষ সুমিত্রা মহাজন-সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও বিয়েতে গিয়েছিলেন। যে বিয়ের খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল।
একাংশের বক্তব্য, টিনা এবং আতারের প্রেমকাহিনি শুরু হয়েছিল মুসৌরিতে লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি ফর অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে। ২০১৫ সালের ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (ইউপিএসসি) পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিলেন। দ্বিতীয় হয়েছিলেন আতার। তারপর প্রশিক্ষণ চলেছিল মুসৌরিতে। দু'জনেই রাজস্থানের ক্যাডারের অফিসার। প্রাথমিকভাবে জয়পুরে তাঁদের পোস্টিং হয়েছিল। পরে শ্রী গঙ্গাধরনগরে জিলা পরিষদে চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন টিনা। আপাতত রাজস্থান সরকারের অর্থ দফতরের যুগ্মসচিব (কর) হিসেবে কর্মরত তিনি। যে পদে গত বছর যোগ দিয়েছিলেন। অন্যদিকে, জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনের হয়ে ডেপুটেশনে কাজ করছেন আতার। যিনি আপাতত শ্রীনগরে পোস্টিংয়ে আছেন।