গোয়েন্দা সংস্থা এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সমন্বিত প্রচেষ্টায় সোমবার ইউটিউবের ২০টি চ্যানেল ব্লক করার নির্দেশ দেওয়া হল। পাশাপাশি ইন্টারনেটে ভারত বিরোধী প্রচার এবং ভুয়ো খবর ছড়ানোর জন্য ২টি ওয়েবসাইটকেও ব্লক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নয়া আইটি নিয়মের অধীনে এই ইউটিউব চ্যানেল এবং ওয়েবসাইটকে ব্লক করা হয়েছে। উল্লেখ্য, চলতি বছরে ২৫ ফেব্রুয়ারি নয়া তথ্যপ্রযুক্তি আইন নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল কেন্দ্র। যা ২৫ মে থেকে কার্যকর হয়েছে। তারপর থেকেই সেই নীতি নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
এই নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে ভারত সরকারের তরফে এক বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়, ‘চ্যানেলগুলি কাশ্মীর, ভারতীয় সেনাবাহিনী, ভারতের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, রাম মন্দির, সিডিএস জেনারেল বিপিন রাওয়াত ইত্যাদি বিষয়ে সমন্বিতভাবে বিভাজনমূলক বিষয়বস্তু পোস্ট করতে ব্যবহৃত হয়েছিল। এই ইউটিউব চ্যানেলগুলি কৃষকদের বিক্ষোভ, সিএএ প্রতিবাদের মতো বিষয় নিয়েও বিষয়বস্তু পোস্ট করেছিল এবং সংখ্যালঘুদের সরকারের বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। এটাও আশঙ্কা করা হয়েছিল যে এই চ্যানেলগুলি পাঁচ রাজ্যে আসন্ন নির্বাচনের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দুর্বল করার জন্য কনটেন্ট পোস্ট করতে ব্যবহার করা হবে।’
এই বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সচিব অপূর্ব চন্দ্র বলেন, ‘উল্লিখিত ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য খতিয়ে দেখে, আমরা দেখেছি যে প্রকাশিত তথ্যগুলি ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতা, ভারতের প্রতিরক্ষা এবং রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকারক। সেইজন্য এগুলি আইটি আইনের ধারা ৬৯(এ) পরিধির মধ্যে পড়ে।’