১৭ বছর পর টি২০ বিশ্বকাপে জয়ী হয়েছে ভারত। আর ২০১১ সালের ১৩ বছর পর ফের একবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পেয়েছেন ভারতীয়রা। এর মাঝে একাধিক বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল, ফাইনালে উঠলেও জয় অধরাই থেকেছিল। এমনকী পরপর দু'বার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেও জিততে পারেনি ভারত। এই আবহে এতদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটে এবছরের টি২০ বিশ্বকাপ জয়ের মাধ্যমে। আর বিশ্বজয়ী ক্রিকেটারদের সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছিল মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে। সেই স্টেডিয়াম পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তা খোলা বাসে শোভাযাত্রা করেছিলেন বিরাট-রোহিতরা। নিজের পছন্দের ক্রিকেটারদের দেখতে প্রায় ৩ থেকে সাড়ে তিন লাখ ক্রিকেটপ্রেমী জড়ো হয়েছিলেন মেরিন ড্রাইভে। আর সেখানেই অনেকেই জুতো, চপ্পল হারিয়েছেন। (আরও পড়ুন: স্টার্মারের সরকারে কলকাতা যোগ, ব্রিটেনের মন্ত্রী হলেন বাঙালির মেয়ে লিজা নন্দী)
আরও পড়ুন: বিশ্বের প্রথম CNG বাইক বাজারে আনল বাজাজ, দাম লাখ টাকার কম, রেঞ্জ কত জানেন?
গত ৪ জুলাই মুম্বইতে বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটারদের নিয়ে প্যারেড হয়েছিল সন্ধ্যা ৮টা নাগাদ। তবে সেদিন বেলা ১২টার পর থেকেই মেরিন ড্রাইভে লোক জড়ো হতে শুরু করেছিলেন। দুপুর হতে হতে পুরো মেরিন ড্রাইভ লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। চারিদিকে শুধু মানুষের মাথা গিজগিজ করতে দেখা যায়। আর সন্ধ্যায় যখন প্যারেড শুরু হয়, তখন বিরাট-রোহিতদের দেখতে যে যার ঘাড়ে উঠে পড়ছিলেন। শুরু হয়েছিল হুড়োহুড়ি। এই আবহে অনেকেই জুতো হারান। এই আবহে প্যারেড ও সংবর্ধনা শেষে যখন মেরিন ড্রাইভ ফাঁকা হয়, তখন রাস্তা জুড়ে শুধু আবর্জনা আর ছেঁড়ে চটি, জুতো দেখা যায়। (আরও পড়ুন: সরকারি কর্মীদের জন্য নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি বাজেট ডিভিশনের, বাড়তি লক্ষ্মীলাভ হবে?)
আরও পড়ুন: ঊর্ধ্বমুখে ছুটেই চলেছে হলুদ ধাতু, কলকাতায় পরপর ৪ দিনে ১০০০ টাকা বাড়ল সোনার দাম
আরও পড়ুন: কলকাতা, হাওড়া সহ দুই ২৪ পরগনায় জারি হল সতর্কতা, লাল সতর্কতা বাংলার ৫ জেলায়
জানা গিয়েছে, ক্রিকেটপ্রেমীদের এই মহাউৎসব শেষে রাতেই মেরিন ড্রাইভ সাফাইয়ে নামে বৃহন্মুম্বই পুরনিগমের কর্মীরা। রাতভর এই সাফাই অভিযান চলে। প্রায় ৮০০০ থেকে ৯০০০ কেজি জঞ্জাল সেদিন রাতে সংগ্রহ করা হয় মেরিন ড্রাইভ থেকে। এর মধ্যে ৩০০০ কেজি শুধু ছেঁড়া চটি-জুতো। জানা যায়, গভীর রাত থেকে শুরু করে পরদিন সকাল আটটার আগে পুরো মেরিন ড্রাইভ পরিষ্কার করা হয়ে যায়। এছাড়া বোতল, ছাতা, পোস্টার, ব্যানার ও খাবারের মোড়কের মতো কয়েক হাজার কেজি জঞ্জাল সংগ্রহ করা হয় মেরিন ড্রাইভ থেকে। পুরনিগমের ১০০ জন কর্মী ছাড়াও এই সাফাই অভিযানে হাত লাগিয়েছিলেন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রাময় মহিলা সংঘ, পারস মণি মহিলা সেবক সংঘ, আধার সংস্থান, নিরঙ্কারি সেবা সংঘ এবং ওম শিব শক্তি মণ্ডলের স্বেচ্ছাসেবকরা। জানা যায়, রাত ১১টার সময় সাফাই অভিযান শুরুর কথা ছিল। তবে তখনও মেরিন ড্রাইভে ক্রিকটপ্রেমীদের ভিড় ছিল, তাই কাজ শুরু করা যায়নি। পরে সাফাই অভিযান শুরু করতে করতে রাত ৩টে বাজে। পাঁচঘণ্টার মধ্যে সেই অভিযান সম্পন্ন করা হয়।