একজনের ক্রেডিট কার্ডের তথ্য দেখতে পেলেন অপরজন- এমনই অভিযোগ তুললেন আইসিআইসি ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের একাংশ। তাঁদের দাবি, আইসিআইসি ব্যাঙ্কের আইমোবাইল অ্যাপে (iMobile) সেই সমস্যা হল। গ্রাহকদের তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার অভিযোগ তোলেন ক্রেডিট কার্ড এবং ব্যাঙ্কিং প্রোডাক্ট সংক্রান্ত টেকনোফিনোর প্রতিষ্ঠাতা সুমন্ত মণ্ডলও। যা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। তবে বেসরকারি ব্যাঙ্কের তরফে দাবি করা হয়েছে, এখনও কোনও ক্রেডিট কার্ডের তথ্যের অপব্যবহারের কোনও খবর মেলেনি। সেইসঙ্গে যদি কোনও গ্রাহকের কোনও আর্থিক ক্ষতি হয়, তাহলে তাঁকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে।
বিষয়টি ঠিক কী হয়েছিল?
বৃহস্পতিবার একাধিক নেটিজেন দাবি করতে থাকেন যে তাঁরা অন্য গ্রাহকের ক্রেডিট কার্ডের তথ্য দেখতে পাচ্ছেন। এক নেটিজেন বলেন, 'আইমোবাইল সুরক্ষা সংক্রান্ত ত্রুটির জন্য আমি অন্য কারও অ্যামাজন পে'র সিসির অ্যাকসেস পেয়ে গিয়েছি। ওটিপির কারণে অভ্যন্তরীণ লেনদেন করা যাচ্ছে না। আইমোবাইল অ্যাপের তথ্য ব্যবহার করে আমি আন্তর্জাতিক লেনদেন করতে পারছি। এমনকী প্রকৃত ব্যবহারকারী যদিও আন্তর্জাতিক লেনদেনের বিষয়টি বন্ধ করে রাখেন, তাহলেও আমি সেটা করতে পারছি।'
একইসুরে টেকনোফিনোর প্রতিষ্ঠাতা বলেন, 'আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের আইমোবাইল অ্যালার্টে সুরক্ষা সংক্রান্ত বড়সড় গাফিলতি হয়েছে। একাধিক ব্যবহারকারী দাবি করছেন যে তাঁরা নিজেদের আইমোবাইল অ্য়াপে অন্য গ্রাহকদের আইসিআইসিআই ক্রেডিট কার্ড দেখতে পাচ্ছেন। যেহেতু কার্ডের পুরো নম্বর, এক্সপায়ারি ডেট এবং সিভিভি দেখা যাচ্ছে, তাই যে কেউ সহজেই আন্তর্জাতিক লেনদন নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন। আন্তর্জাতিক লেনদেনের জন্য সহজেই একজনের ক্রেডিট কার্ডের অপব্যববহার করতে পারবেন।'
আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের প্রতিক্রিয়া
‘হিন্দুস্তান টাইমস’-কে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের এক মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা আমাদের গ্রাহকদের উপর সবথেকে গুরুত্ব আরোপ করি। তাঁদের স্বার্থ সুরক্ষিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর। আমরা জানতে পেরেছি, গত কয়েকদিনে যে প্রায় ১৭,০০০ নয়া ক্রেডিট কার্ড জারি করা হয়েছে, তা আমাদের ডিজিটাল মাধ্যমে ভুলবশত অন্য ব্যবহারকারীদের উপর ম্যাপ হয়ে গিয়েছে।'
ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কের মুখপাত্র আরও বলেছেন, 'ব্যাঙ্কের মোট যে সংখ্যক ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারী আছেন, তাঁদের নিরিখে সেই সংখ্যাটা মাত্র ০.১ শতাংশের মতো। সেই পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ হিসেবে আমরা সেইসব কার্ড ব্লক করে দিয়েছি এবং গ্রাহকদের নয়া ক্রেডিট কার্ড জারি করা বন্ধ করে দিয়েছি। যে সমস্যা হয়েছে, সেটার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।’